দাওয়াত ও তাবলীগ

জয়ীফ হাদিছ ও ফাযায়েলে আমাল

মুসলিম উম্মাহর নির্ভরযোগ্য সকল হাদিসবিদের মতে ক্ষেত্রবিশেষে যয়িফ হাদিসও গ্রহণযোগ্য ও আমলযোগ্য হতে পারে। ফাযায়িলে আ’মালের ক্ষেত্রে যয়িফ হাদিসও যে গ্রহণীয় তা তো শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকল মনীষীরই সিদ্ধান্ত। দৃষ্টান্তরূপে কয়েকটা মাত্র উল্লেখ করা হল।

ইমাম নববি রাহ. লিখেন-

قال العلماء من المحدثين والفقهاء وغيرهم: يجوز ويستحب العمل في الفضائل والترغيب والترهيب بالحديث الضعيف ما لم يكن موضوعا.

“মুহাদ্দিস, ফকিহ ও আলিমগণ বলেন, ফাযায়িল, তারগিব ও তারহিব বা ভালো কাজের উৎসাহ এবং মন্দ কাজ থেকে ভীতি প্রদর্শন সংক্রান্ত বিষয়ে যয়িফ হাদিসের ওপর আমল করা জায়িয, বরং মুসতাহাব। তবে মাওযূ’ হাদিসের ক্ষেত্রে এই হুকম প্রযোজ্য নয়।” {আল আযকার; নাওয়াওয়ি, পৃ. ৮, দারুল ফিকর, বয়রুত, ১৪১৪ হি.}

ইমাম নববি রাহ. অন্যত্র বলেন,

وقد اتفق العلماء على جواز العمل بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال.

“সকল আলিম এ বিষয়ে একমত যে, ফাযায়িলের ক্ষেত্রে যয়িফ হাদিসের ওপর আমল করা যেতে পারে।” {আল আরবাউন; নাওয়াওয়ি, পৃ. ৮, দারুল মিনহাজ, বয়রুত, ১৪৩০ হি.}

আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি রাহ. বলেন,

إن الحديث الضعيف يتسامح به في فضائل الأعمال.

“ফাযায়িলে আমলের ক্ষেত্রে যয়িফ হাদিসের ওপর আমল করার সুযোগ রয়েছে।” {আল হাওয়ি লিল ফাতাওয়া; সুয়ূতি, ২/২৩২, দারুল ফিকর, বয়রুত, ১৪২৪ হি.}

মোল্লা আলি কারি রাহ. বলেন,

والضعيف يعمل به في فضائل الأعمال اتفاقا.

“সর্বসম্মতিক্রমে ফাযায়িলে আমালের ক্ষেত্রে যয়িফ হাদিসের ওপর আমল করা যাবে।” {আল আসরারুল মারফুআ ফিল আখবারিল মাওযুআ, পৃ. ৩১৫ দারুল ফিকর, বয়রুত}

চাইলে উসুলে হাদিসের কিতাব থেকে আরো ভুরি ভুরি উদাহরণ দেওয়া যাবে। তবে যারা বুঝার তারা এতেই বুঝবে। আর যারা বুঝবে না তাদেরকে হাজার রেফারেন্স দিলেও কাজ হবে না।

Leave a comment