নাস্তিক কবি সৈয়দ শামছুল হক

মসজিদ থেকে ভেসে আসা আযানের ধ্বনি ভীষণ অপছন্দ করেন কবি সৈয়দ শামসুল হক। আযানের চেয়ে কাকের কা কা শব্দ তার কাছে অধিক পছন্দনীয়। তাই তিনি তার ‘মরা ময়ূর’ নামক কাব্যনাট্যে ভোরের কাককে অনুরোধ করেছেন- ও কাক! তুই খুব জোরে কা কা কর, যাতে মুয়াজ্জিনের আজানটা আর শোনা না যায়।
‘মোসাদ’ ও ‘র’ এর আন্ডার কভার এজেন্ট দ্বারা পরিচালিত দৈনিক প্রথম আলো হল এই কুখ্যাত নাস্তিকের মূল পৃষ্ঠপোষক। আজকের প্রথম আলোর সাময়িকী পাতায় মোট দেড় পাতা ব্যয় করা হয়েছে কেবল শামসুল হককে গুণকীর্তনের জন্য। বছরখানেক আগে বাংলার শীর্ষ ২০ জন নাস্তিকের পরিচয় তুলে ধরে ব্লগে একটি লেখা প্রকাশ করেছিলাম যা ভালই সাড়া ফেলেছিল। সেই ২০ শীর্ষ নাস্তিকের মধ্যে একজন হল এই শামসুল হক। এবার শীর্ষ ২০ নাস্তিকের প্রত্যেককে নিয়ে আলাদাভাবে বিস্তারিত লিখতে চাই। আজকে কেবল শামসুল হককে নিয়ে আলোচনা করব।
.
এই কুখ্যাত ব্যক্তিটি যে কেবল ইসলামবিদ্বেষী তা কিন্তু নয়, একইসাথে সে একজন নোংরা মনের মানুষও বটে। অশ্লীল কাব্য রচনায় তার জুড়ি মেলা ভার। প্রাপ্তবয়স্ক কবিতার নামে চটিকাব্য রচনায় সে বিশেষ পারদর্শী। আরেক কুখ্যাত নাস্তিক তসলিমা নাসরিনের সাথে যৌবনে শামসুলের বিশেষ সম্পর্ক ছিল। আরো অনেকের মত তিনিও নাকি সুযোগ বুঝে অসহায় তসলিমাকে ভোগ করেছিলেন- এ অভিযোগ খোদ তসলিমার। শামসুল হকের আলোচিত দু’টি কবিতার খন্ডাংশ নিচে দেয়া হল-
১। যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে
স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ
মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ
.
২। শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ,
দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা,
আর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায়…
.
যাদের সাহিত্যের ভাষা এমন নোংরা তারা সেক্যুলার/নাস্তিক হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করতো তাহলে ইসলামকে অপমান করা হত। এইসব কুখ্যাত চরিত্রহীন লম্পটদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব থেকেই বুঝা যায় ইসলাম সঠিক পথে আছে। মন্দরা সবসময় ভালোর বিরোধীতা করবে এটাই জগতের নিয়ম।