Peace of Life

মনের অশান্তি দূরিকরণের উপায়

মনে খুব অশান্তি যাচ্ছে? ঘরে বাইরে নানা সংকট এসে ঝেঁকে ধরেছে? চতুর্দিক থেকে বিপদেরা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে?
তাহলে সাকীনাহ (سَكِينَةٌ) প্রয়োজন। সাকীনাহ অর্থ প্রশান্তি। সুস্থিরতা। প্রশমন। কুরআন কারীমে শব্দটা সর্বমোট ছয়বার এসেছে। আল্লামা ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়িম রহ. একটা আমল করতেন। যখনই দুশ্চিন্তা এসে ভর করত, মনটা অশান্ত হয়ে উঠত, দু’জনেই ‘সাকীনাযুক্ত’ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করতে শুরু করতেন। ইয়াকীনের সাথে। গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের সাথে। মনোযোগের সাথে। বুঝে বুঝে। আয়াতের বরকতে, তাদের মনের যাবতীয় যাতনা, কষ্ট দূর হয়ে যেত। কলবে একটা আরাম আরাম ভাব বিরাজ করতে শুরু করত। এবার তাহলে আয়াতগুলো একবার পড়ি?
(১): তাদেরকে তাদের নবী আরও বলল, তালূতের বাদশাহীর আলামত এই যে, তোমাদের কাছে সেই সিন্দুক (ফিরে) আসবে, যার ভেতর তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে প্রশান্তির উপকরণ এবং মূসা ও হারুন যা-কিছু রেখে গেছে তার কিছু অবশেষ রয়েছে। ফিরিশতাগণ সেটি বয়ে আনবে। তোমরা মুমিন হয়ে থাকলে, তার মধ্যে তোমাদের জন্যে অনেক বড় নিদর্শন রয়েছে (বাকারা ২৪৮)।
وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ آيَةَ مُلْكِهِ أَن يَأْتِيَكُمُ التَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَىٰ وَآلُ هَارُونَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
(২) অতঃপর আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তাঁর রাসূল ও মুমিনদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং এমন এক বাহিনী অবতীর্ণ করলেন, যা তোমরা দেখতে পাওনি। আর যারা কুফর অবলম্বন করেছিল, আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিলেন। আর এটাই কাফিরদের কর্মফল (তাওবা ২৬)।
ثُمَّ أَنزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَىٰ رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَنزَلَ جُنُودًا لَّمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ وَذَٰلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِينَ
(৩) তোমরা যদি তার (অর্থাৎনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) সাহায্য না কর, তবে (তাতে তার কোনও ক্ষতি নেই। কেনো) আল্লাহ তো সেই সময়ও তার সাহায্য করেছিলেন, যখন তারা কাফেরগণ তাকে (মক্কা থেকে) বরে করে দিয়েছিল এবং তখন সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, তখন সে তার সঙ্গীকে বলেছিল, চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। সুতরাং আল্লাহ তার প্রতি নিজের পক্ষ থেকে প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং এমন বাহিনী দ্বারা তার সাহায্য করলেন, যা তোমরা দেখনি এবং কাফেরদের কথাকে হেয় করে দিলেন। বস্তুত আল্লাহর কথাই সমুচ্চ। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (তাওবা ৪০)।
إِلَّا تَنصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللَّهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا ۖ فَأَنزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَّمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُوا السُّفْلَىٰ ۗ وَكَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا ۗ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
(৪) তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তাদের ঈমানে অধিকতর ঈমান যুক্ত হয়। আকাশম-লী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময় (ফাতহ ৪)।
هُوَ الَّذِي أَنزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ لِيَزْدَادُوا إِيمَانًا مَّعَ إِيمَانِهِمْ ۗ وَلِلَّهِ جُنُودُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
(৫) নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের প্রতি খুশী হয়েছেন, যখন তরা গাছের নিচে তোমার কাছে বায়আত গ্রহণ করেছিল। তাদের অন্তরে যা-কিছু ছিল সে সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন। তাই তিনি তাদের উপরে অবতীর্ণ করলেন প্রশান্তি এবং পুরস্কারস্বরূপ তাদেরকে দান করলেন আসন্ন বিজয় (ফাতহ ১৮)।
لَّقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا
(৬) কাফেরগণ যখন তাদের অহমিকাকে স্থান দিল, যা ছিল জাহেলী যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ তাঁর রাসূল ও মুসলিমদের উপর নিজ প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং তাদেরকে তাকওয়ার বিষয়ে স্থিত করে রাখলেন আর তারা তো এরই বেশি হকদার ও এর উপযুক্ত ছিল। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞান (ফাতহ ২৬)
إِذْ جَعَلَ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي قُلُوبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَىٰ رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوَىٰ وَكَانُوا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا ۚ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
পড়তে ইচ্ছা না হলে ,জোর করে পড়তে হবে। অষুধের মত। মন সুস্থির হওয়া পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে। পড়েই যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ মন ঠিক হবেই হবে।
____copied from Atik Ullah Bhai

Uncategorized

যার_স্ত্রী_নেই_সে_মিসকিন

ওয়াহ! ইসলাম কত্তো সুন্দর!
একদিনের ঘটনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে আছেন প্রিয় সাহাবিদের সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে একপর্যায়ে বললেন, “ওই লোক মিসকিন, যার স্ত্রী নেই।”
কথাটি সাহাবায়ে কেরামের কানে পড়তেই সবাই বেশ বিস্মিত। এ কেমন কথা! এত দিন শুনে আসছি, যার অর্থ সেই মিসকিন-হতদরিদ্র। আর আজ কি-না প্রিয় রাসুল বলছেন, যার স্ত্রী নেই সে মিসকিন। কৌতূহল না চেপে সরাসরি জিজ্ঞেস করে ফেললেন, “যদি লোকটির প্রচুর অর্থ-বিত্ত থাকে তবুও কি সে মিসকিন?”
প্রিয় রাসূল মুচকি হেসে পূর্ণ প্রশান্তির সঙ্গে ভরাট গলায় উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, যত প্রাচূর্য্য আর বিত্ত-বৈভবের অধিকারী হোক না কেন, যদি স্ত্রী না থাকে তাহলে সে মিসকিন।”

[তথ্যসূত্র :
জমউল ফাওয়ায়েদ,
কিতাবুন নিকাহ,
খণ্ড: ১,
পৃষ্ঠা : ২১৬]

হজ্জ, Uncategorized

হজ্জ  

হজ্ব বিষয়ক কিছু লেখা। বাক্কাগামী আল্লাহর মেহমানদের কাজে লাগতে পারে। 
.

হজ্জ্বঃ হাদীস ও আছারের আলোকে

http://www.alkawsar.com/article/1869

.

হজ্বের মাস : হজ্ব কী? হজ্ব কেন?

http://www.alkawsar.com/article/1663

.

কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীসের আলোকে হজ্ব ও উমরার গুরুত্ব ও ফযীলত

» http://www.alkawsar.com/article/718

.

হজ্বের প্রস্ত্ততি

» http://www.alkawsar.com/article/716

.

হজ্ব-উমরার আমলসমূহ : মর্তবা ও ফযীলত

» http://www.alkawsar.com/article/297

.

বদলী হজ্বের মাসায়েল

http://www.alkawsar.com/article/461

.

হজ্ব বিষয়ক ভুল-ভ্রান্তি

» http://www.alkawsar.com/article/35

.

হজ্বের সফর : কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

http://www.alkawsar.com/article/1671

.

ঐক্য ও সংযমের ইবাদতে কেন এত অনৈক্য ও অসংযম

http://www.alkawsar.com/article/300

.

হজের বিধি বিধান সম্পর্কে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার

http://www.alkawsar.com/article/1471

.

নফল হজ্ব কখন করব, কীভাবে করব

» http://www.alkawsar.com/article/460

.

হজ্ব : সবরের পাঠশালা

http://www.alkawsar.com/article/1173

.

হজ্ব : কথোপকথন বাইতুলস্নাহর দিকে নজর করে হেদায়েত, বরকত, আমন ও রিযকে হালাল লাভের অনুভূতি লালন করা দরকার

http://www.alkawsar.com/article/1179

.

হজ্ব : সাক্ষাৎকার : রওযার ছবি তো দিলে ধারণ করবে, ক্যামেরায় নয়

http://www.alkawsar.com/article/1665

.

হজ্বে গিয়ে কেনাকাটা, একটু ভাবুন

http://www.alkawsar.com/article/734

.

প্রচলিত ভুল ▶

ইহরামের চাদরকেই ইহরাম মনে করা

» http://www.alkawsar.com/article/32

.

হজ্বে আছে ইবরাহীমী আনুগত্যের প্রশিক্ষণ

http://www.alkawsar.com/article/756

.

হজ্বের মাস : জীবনকে আলোকিত করার আলোকিত সময়

http://www.alkawsar.com/article/1170

.

আমরা ওখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?

http://www.alkawsar.com/article/457

.

তাওহীদের তালবিয়া : বাক্য ও ব্যঞ্জনা

http://www.alkawsar.com/article/484

.

হজ্ব ও কুরবানী : আলোকিত সময়ের আলোকিত শিক্ষা

» http://www.alkawsar.com/article/983

.

একটি ভুল মাসআলা : ইহরামের অবস্থায় কি মীকাতের সীমানা থেকে বের হওয়া ঠিক নয়

http://www.alkawsar.com/article/1493

.

একটি ভুল ধারণা : হজ্বে কি মহিলাদের পর্দা করতে হয় না

http://www.alkawsar.com/article/1445

.

একটি ভুল ধারণা: মসজিদে নববীতে চল্লিশ ওয়াক্ত নামায জরুরি মনে করা

http://www.alkawsar.com/article/96

.

একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা : যে যতবার লাব্বাইক বলেছে ততবার হজ্বে যাবে

http://www.alkawsar.com/article/1937

.

মসজিদে হারামের দুর্ঘটনা : আল্লাহ! আমাদের ক্ষমা করুন

http://www.alkawsar.com/article/1680

.

হজ্ব ও কুরবানীর পর : চেতনায় চিরন্তন হোক ‘আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা’

http://www.alkawsar.com/article/1878

.

লিবাসুল ইহরামের শুভ্রতা সত্য হোক আমাদের জীবনে

http://www.alkawsar.com/article/1188

.

হজ্ব : প্রাসঙ্গিক একটি আলোচনা

http://www.alkawsar.com/article/1201

সৌজন্যে : মাসিক আলকাউসার

আহলে হাদিছের মিথ্যাচার, Uncategorized

মাজহাব 

✅২) লা মাজহাবীদের মুখুশ খুলে দিতে সংগ্রহ করে রাখুন ১০০ টি ভিডিও লিংক !
1) কথিত আহলে হাদীসদের শায়খদের হাদীস নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারনা।

 পর্ব ১

2) টাটকা মিথ্যুক মুজাফফর বিন মুহসিন যে একটা মস্থ বড় মুনাফিক মিথ্যুক নয় , তা প্রমান করার দায়িত্ত লা মাজহাবীদের ।

মুজা বিন মুহসিনের দাবী > দুবাইয়ের এক মাহফিলে ইমামুল হারামাইন শায়খ ছুদাইছ সাহেব বক্তব্য দিয়ে নামলেন কিন্তু একজনও ইসলাম গ্রহন করে নাই । 

কিন্তু যখন জাকির নাইক বক্তব্য দিলেন তখন শত শত ইহুদি দাঁড়াচ্ছে আর ইসলাম গ্রহন করেছে ।

এখন লা মাজহাবীদের কাছে আমার প্রশ্ন ?

১) অবশ্যই দুবাইর এই শত শত ইহুদি মুসলিম হওয়ার ভিডিও আপনাদের কাছে থাকার কথা । দয়া করে আমাকে ঐ ভিডিও টা দিয়ে প্রমান করবেন যে আপনাদের শায়খ মুজা বিন মুহসিন একটা ভণ্ড , প্রতারক , মিথ্যুক না ।

3)গরীব এতিমদের টাকা আত্তসাতের পর এবার নেত্রিত্ত নিয়ে আহ্লে হাদিস ফিরকার আমীর আসাদুল্লাহ গালিব ও আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউছুফের মদ্ধে তুমুল যোদ্ধ!

আল হামদুলিল্লাহ!  দুনিয়ার সকল বাতিল এভাবেই জলিল ও খার হয়!  এদের অ জিল্লতি অতি নিকটে!

নিচে আসাদুল্লাহ গালিব সম্পর্কে, তাদের এক নেতার হুবহু কথাটা তুলে ধরলাম!

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আতের অপব্যাখ্যাকারী ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবকে অবশেষে সমুচিত জবাব দিয়েই ছাড়লেন শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ।

শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 

“বায়াত করে নিজেকে মাতব্বরি দেখিয়ে ধর্মের ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না। আপনাকে (ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব) সতর্ক করা হচ্ছে বিশেষ ভাবে। আপনি (ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব) কুরআন হাদীছ বুঝেন কিনা, আমরা খুব একটা ভাল স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারিনা। জানিনা দলীয় ফাঁদে ফেলে সংকীর্ণতার জাল দেখিয়ে শত বিভক্ত হয়ে মানুষের বদনাম, গীবত করে কাগজ, কলম, মুখ ভর্তি করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করা যায় কিভাবে, এ হিসাব ঠিক নয়। আপনাকে (ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব) এই সংকীর্ণতা থেকে ফিরে আসতে হবে জরুরী ভিত্তিতে। অতএব কখনও একটি বাক্য উপেক্ষা করে বেখেয়াল হয়ে থাকার চেষ্টা করবেন না”………..

4) ডঃ আসাদ-উল্লাহ গালিব এবং বাংলাদেশ আহলে হাদীস আন্দোলনের প্রতারণা”, by Maulana Tahmidul Maula

5) এক লেংড়া মশা যেমন নমরুদের মসনদকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিল তেমনি এক মশার মাসআলা কথিত আহল হাদীসদের ঐদ্ধ্যতের মসনদকে ভেঙ্গে তছনছ করে দেবার জন্য যথেষ্ঠ!!!!

6) ইংরেজ সৃষ্ট কথিত আহলে হাদিস ফিরকার ইতিহাস নিয়ে আসাদুল্লাহ গালিবের মিথ্যাচার ।মিথ্যাচার করে মিথ্যুক হওয়া যায় কিন্তু ইতিহাস বদলানো যায় না । http://youtu.be/zQge0p7aSaQ
7) শুরু হয়ে গেছে আহলে হাদিস ফিরকার শেখ পেখদের মাহফিলে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও প্রতিরুদ !

ইনশা আল্লাহ অতি শিগ্রই জুতা পিটা শুরু হয়ে যাবে !

8) সত্য কে ধামা চাপা দেওা যায় না !

শুনুন সত্য কেমনে বের হয় !

এবার শুনুন পাকিস্থান আহলে হাদিসের এক নেতার মুখে সত্য কথা !

ইনশা আল্লাহ এই ভাবে আস্থে আস্থে সত্য একদিন বের হয়ে আসবে !

তিনি বলেন : যখন ব্রিটিস বিরুধী আন্দোলন চলছিল, তখন ইংরেজরা সকলকে ওয়াহাবী বলে ডাকতো, এই ওহাবীদের মাজে এক গুরুপ মুসলমান ( উলামায়ে দেওবন্দ ) যারা ময়দানে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত !

অন্যদিকে এক গ্রুপ যারা ইংরেজদের পিছনে লুকানো ছিল, ঘুলাটে ময়দানে যখন মুসলমানদের উপর হত্যা শুরু হলো, তখন আহলে হাদিস্দের তখন্কার আমীর মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী ইংরেজদের কাছে এসে অনুরুধ করলেন যে, যারা আপনাদের পিছনে আছে তাদের নাম ওহাবী বাদ দিয়ে আহলে হাদিস হিসেবে অফিসিয়াল ভাবে রেজিস্টার করে নিন ! তখন ইংরেজরা ঘুসনা দিল যারা আমাদের বিরুদ্ধে যোদ্ধ করা থেকে বিরত হয়ে আমাদের সমর্থন করবে তাদের নাম ওহাবী থেকে আহলে হাদিস হিসেবে গণ্য হবে !

9) নামধারী গগল মুফতিগন – 

যারা নিজে নিজে মুজতাহিদ হতে চান 

তাদের জন্য মসজিদ আল হারামের ইমাম 

আব্দুর রহমান আস সুদাইস সাহেবের গুরুত্ব পূর্ণ নসিয়ত

তালেবে এলেমদের জন্য আবশ্যক হল- 

তারা উলামায়ে কেরামের মতানৈক্যকে নিষ্ঠার সাথে মেনে চলবে। তার পাশা পাশি উলামায়ে কেরামের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে।

বিশেষ করে পূর্ববর্তী ইমামগনকে। কারো জন্য সমীচীন নয় যে, সে ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর

নিন্দা করে, না ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আস শাফি”র, না ইমাম মালেক ইবনে আনাসকে দোষারোপ করে, না ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ) কে, না ইমাম আওযায়িকে, না ইমাম লাইস ইবনে সা’দ কে, না সুফিয়ান বিন উয়াইনাকে, না সুফিয়ান বিন আস সাওরি কে, এবং ইসলামি ইতিহাসে তাদের মত নক্ষত্র তুল্য ইমাম ও উলামায়ে কেরামের নিন্দা করে। তাদের নিন্দাকারীরা সালফে সালেহিনের (পূর্ববর্তী নেককারদের ) আদর্শ হতে বিচ্যুত। সালাফে সালেহিনের আদর্শই হল উলামায়ে কেরামের মর্যাদা রক্ষা করা। যাদের মর্যাদাকে আল্লাহ তা’লা সংরক্ষন করেছেনএবং তার একত্ববাদের সাক্ষ্যের বিষয়ে তাদের নামকে ফেরেশতাদের শাক্ষ্য সহ নিজের নামের সাথে উল্ল্যেখ করেছেন এবং বলেছেন – সুরা আল ইমরানের ১৮ নং আয়াতে– (আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। ) 

আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হল আমরা তাদের প্রতি সম্মান ও আদবের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবো।

যদিও তারা নিস্পাপ ছিলেন না। কিন্তু মুজতাহিদ তার ইজতিহাদে ভুল করলেও পাবেন একটি সোয়াব, আর তার ইজতিহাদে সঠিক হলে পাবেন দুইটি সোয়াব। সুতরাং মুজতাহিদ উলামাদের যে বা যারা দোষ ধরবে তারাই সরল পথ থেকে বিচ্যুত যেমনটি ইমাম তাহবি (রহ) বর্ণনা করেছেন। আর এইজন্য পূর্ববর্তী ইমামগন অত্যান্ত বিচক্ষনার সাথে কোন মুসলমানের প্রতি তাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ না থাকার বিষয়টি প্রমান করেছেন। যেমন ইমাম শাফি (রহ) বাগদাদ থেকে বের হতেন এবং বলতেন – আমি বাগদাদ থেকে এমন অবস্থায় বের হয়েছি যে, 

তাতে ইমাম আহমেদের মত এমন বিচক্ষন, মর্যাদাশীল, জ্ঞানি এবং মুত্তাকি কাউকে পাইনি। 

অপর দিকে ইমাম আহমেদ (রহ) শেষ রাতে ইমাম শাফি (রহ) এর জন্য হাত তুলে দোয়া করতেন। এটাই হল উলামায়ে কেরামের আদর্শ ও চরিত্র, এটাই হল উলামায়ে কেরামের আদব।

বর্তমানে আমরা কিছু এলেমের নামধারীদের মানুষের দেখতে দেখতে পাই, যারা উলামায়ে কেরামকে দোষারোপ করে, তাদেরকে অবজ্ঞা করে এবং তাদেরকে অপবাদ দেয়, আর তাদের ব্যাপারে বিদ্বেষ পূর্ণ খবর প্রচার করে- তাই জ্ঞান অনুসন্ধানকারীরা এই বিষয়ে সতর্ক থাকেন যে,

তাদের হাশরে আল্লাহর সাথে এমতবস্থায় সাক্ষাত না হয় যে, তাদের মুখ উলামায়ে কেরামের মুখে কোন মানহানিকর কথা বলেছে। কেননা উলামায়ে কিরামের গোশত বিষাক্ত!

10) উপমহাদেশে আহলে হাদিস লা মাজহাবী ও সালাফী ফিতনার অপতাতপরতা ।ঃশায়খ সালমান নদভী হাফিজাহুল্লাহঃ http://youtu.be/nBiuY3oGVOs

11) তুমি বলো ইমাম আবু হানিফা কি জানেন, আরে পাগল তুমি সাউদি আরব  রাস্তা পরিস্কার  করো, তুমি কে?http://youtu.be/ifwPcRwN2uY
✴️12) আহলে হাদিস ফিরকার জাহিল মুফতির ফতুওয়া ।……।

@@@ফিস টিভির বিপক্কে যারা কথা বলে এই ইমাম সাবের পিছনে নামাজ হবে না@@@

তো আমার ফিরকায়ে আহলে হাদিস ভাইরা , আমাকে সহিহ হাদিস থেকে প্রমান দিয়ে একটু চিন্তা মুক্ত করবেন যে কুন হাদিসে আছে যে ফিস টিভির বিপক্ষে বলনে ওয়ালা ইমামের পিছনে নামাজ হবে না ।

13) আসুন দেখি সত্যিকার “আহলুল হাদিস” দের আদর্শে আর অন্য দিকে আমাদের উপমহাদেশের নামধারি আহলে হাদিসদের আদর্শে পার্থক্য কতটুকু?আদর্শ বাদ দিয়ে শুধু নাম দিলেই মর্যাদা সমান হয়ে যায়?http://youtu.be/Wa2J8ZtxthM

14) দেখুন  নামধারী আহলে হাদিস যে শধুই মিডিয়া নির্ভর! তা কয়েক ভাই বুঝতে পেরে চলে এসেছেন তাদের বিভ্রান্তি থেকে। আল্লাহ তালা আমাদের সকলকে এই আহলে হাদিস ফিতনা থেকে হেফাযত করুন। আমিন http://youtu.be/74LV5PbO8pw
15) ইংরেজ সৃষ্ট কথিত আহলে হাদিসরা নিজেদের জন্মের ইতিহাস কে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া । ইংরেজ রা যে আহলে হাদিস ফিরকার জন্ম দাতা তার কি কুনো ব্যাখ্যা নাই ? হা বেক্ষা আছে শুনুন ভিডিও টি , তাহলে জানতে পারবেন যে কি আসল ইতিহাস ? তাদের জন্ম দাতা যে ইংরেজ তা প্রমান সহ স্পষ্ট । এবার শুনুন কি ভাবে কেমনে ইংরেজরা এই নাম তাদের কে বরাদ্ধ করেছে http://youtu.be/J1rJwnOIu-0
16) মসজিদ থেকে কালিমা মুছে দেওয়ার অপরাধে এক লা মাজহাবী কে মুসলিম জনতার উত্তম মাধ্যম ।তাওবা করে সবার কাছে মাফ চাওয়ার পড়ে মুক্তি পেলো ঐ লা মাঝাবী নামধারী আহলে হাদিস । http://youtu.be/QMHkzzxU1ME
17) সালাফ ও উলামায়ে দেওবন্দের আকীদা এবং বর্তমান সালাফি ও আহলেহাদীস দাবীদারদের আকীদা ( পর্ব -১ )

18) মিডিয়ায় এতদিন ফিরকায়ে আহলে হাদিসের জাহিল মুফতিরা নামাজের বিভিন্ন মাসায়ীল নিয়ে নিজের মতবাদকে কে প্রতিষ্ঠা করছে এতে তারা রাসুল সাঃ এর অনেক হাদিস কে ধামা চাপা দিয়ে মানুষকে গুমরাহ করেছে ।

আলহামদুলিল্লাহ । 

আহলে হক তথা উলামায়ে দেওবান্দ এর  যখন মিডিয়ায় আগমন ঘটেছে , তখইন শুরু হয়ে গেছে ফিরকায়ে আহলে হাদিসদের জালিয়াতির দৃশ্য । তারই ধারাবাহিকতায় এই ভিডিও ।

19) আফসুস , আজকাল টয়লেট করে পানী ব্যাবহার করে না সেও দাবী করে সে নাকি আহলে হাদিস শায়েখ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম সাহেবের ছাত্র, এবং গায়েরে মুকাল্লিদ তথা লা-মাযহাবি ভাইদের সম্মানিত শায়েখ, জনাব মুরাদ বিন আমজাদ সাহেবের দৃষ্টিতে প্রকৃত আহলে হাদীস কারা ?আহনাফ মিডিয়া বাংলাদেশ উপস্থাপন করে, ” জনাব মুরাদ বিন আমজাদ সাহেবের দৃষ্টিতে প্রকৃত আহলে হাদীস কারা ? “।http://youtu.be/ClJbzA3kELs
20) সালাফী পরিচয় নিয়ে গণ্ড মূর্খদের মহা যোদ্ধ ।-না দেখলে তো অবশ্যই মিস করবেন-http://youtu.be/2m9gQJor9dY
21) ফিরকায়ে আহলে হাদিস শায়খদের জালিয়াতির ফিরিস্থ বের হওয়া আরম্ব হয়ে গেছে , আলহামদুলিল্লাহ এই ভাবে একদিন সত্য প্রকাশ হবেই ।

22) হায় হায় কি শুনলাম!!না শুনলে মিস করবেন। আমাদের দেশের জাল আহলে হাদিস এবং জাল সালাফিদের গোপন সব #গুপ্তধন ফাস করে দিল তাদেরই প্রিয় শায়েখ মুরাদ বিন আমজাদ

23) ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।একি করলেন, ডা:আসাদ উল্লাহ আল গালিব।আহলে হাদিস নাম টা যে খৃষ্টানদের দেওয়া নাম নয়, তা প্রমাণ করতে গিয়ে, একটা স্বপ্ন কে বাস্তব বলে চালিয়ে দিলেন।

24) আলবানি_ধর্মের প্রতিষ্টাতা এবং #লা_মাযহাবি ভাইদের সবচেয়ে বড় ধর্মগুরু #শেখ_নাসিরুদ্দিন_আলবানিসম্পর্কে যারা জানেন না তারা একটু কষ্ট করে ১মিনিটের এই ভিডিওটা দেখেন http://youtu.be/T0Mmn934-n0
25) ফিরকায়ে আহলে হাদিসদের অস্তিত্ত হুমকির মুখে । আর এই হুমকি শুধু যে বাংলাদেশে তা নয় , বরং পাকিস্থানেও শুরু হয়ে গেছে তাদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরুধ । শুনুন এক ভাই পাকিস্থান আহলে হাদিস ফিরকার আমীর তালিবুর রাহমানের সাথে বাহাসে বসার আমন্ত্রন জানালে জবাবে কি বলেন তালিবুর রাহমান ! http://youtu.be/WJoDbkDk3vI
26) #আহলে_হাদিস VS #কথিত_আহলে_হাদিস….মতিউর রহমান মাদানী সাহেব এবং তার সঙ্গ-পাঙ্গরা আহলে হাদিস না কথিত আহলে হাদিস????http://youtu.be/mnmHYSdi7DA
27) মাতৃভাষায় জুমআর খুতবা প্রদান বিষয়ে শায়েখ আমানুল্লাহ মাদানী সাহেবের রাজনৈতিক বক্তব্যের পোষ্টমর্টেম !

28) “ওরা কখনও আহলে হাদিস নয় বরং ওরা হাদিসের দুসমন”>আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাহেব।

কেন দুসমন জানতে হলে ৪মিঃ খরচ করুন

29) মদীনা থেকে ডক্তরেট করা গায়রে মুকাল্লিদ ড. সাইফুল্লাহ মাদানী সাহেবের আরবী জ্ঞান! আফসোস এসব ব্যক্তিদের শায়েখ বলা ইংরেজী শিক্ষিতদের বিবেক https://www.youtube.com/watch?v=zJM-8plYuhM
✴️30) আমরা সহিহ হাদিস মানি তাই আমাদের মধ্যে কোন মতভেদ নেই । ✋থামেন এই ডায়ালগ আমাদের নয় ! এই ডায়ালগ তথাকথিত লা-মাযহাবী ভাইদের । http://youtu.be/Jy3FJNxc0WQ
31) সাবধান ,সাবধান ,সাবধান । নামধারী মাদানি থেকে সাবধান । একজন বলে রুকু পেল রাক‘আত হবে। অন্য জন বলে রুকু পেল রাক‘আত হবে না।14 শত বছর আগের সমাধান কৃত মাসআলা নিয়ে আজ এই ফিতনাবাজরা উম্মতের মাজে ভিবক্তি তৈরি করছে তাই এই সকল লা মাজহাবী ফিত্নাবাজ উলামায়ে ছু থেকে সাবধান http://youtu.be/MQZkoTc535A
32) আহলে হাদিসদের পরিচয় নিয়ে , ইংরেজ সৃষ্ট ফিরকায়ে আহলে হাদিসদের মিথ্যাচার ।

ব্রিটিশ আমলে মুহাম্মদিউন ফিরকা থেকে উপমহাদেশে আহলে হাদিস ফিরকার জন্ম হয়েছিলো । আর এই নামটি বরাদ্ধ দিয়েছিলো ততকালীন ইংরেজ রা ।

আসহাবুল হাদিস ও আসহাবুর রায় কারা ?

আসহাবুল হাদিস ও আসহাবুর রায় এর পরিচয় নিয়ে ফিরকায়ে আহলে হাদিসদের মিথ্যাচার ও আমাদের জবাব ।

33) আহলে হাদিস কারা ???

আপনাদের জন্য ১মিনিটের একটি চরম সারপ্রাইজ উপহার দিলাম।#আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ VS #মুফতী কাজী ইব্রাহিম সাহেব।এখেন কার কথাটা ঠিক বলে আপনি মনে করেন??? http://youtu.be/gsOy6i3smU4
34) বাহাস , আহলে হক VS বাতিল ফিরকা নামধারী আহলে হাদিস । আলোচ্য বিষয় হায়াতুন্নাবী ।

35)কথিত শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের

ফতুয়া এক বালতি গাভীর পেসাবে গায়ের চাদর ভিজিয়ে সে চাদর গায়ে দিয়ে নামাজ পড়েন নামাজ হবে । 

এই ধরনের জাহিলি ফতুয়া সমন্ধে কোরআন ও হাদিস ভিত্তিক আলোচনা শুনুন

36) মুরাদ বিন আমজদ ফিরকায়ে আহলে হাদিসদের লুঙ্গি খুলেই যাচ্ছে , হা হা হা ।কোন মসজিদের নাম “#আহলে_হাদিস_মসজিদ”রাখার ব্যপারে আমাদের দেশের স্বঘোষিত আহলে হাদিস ভাইদের অতি প্রিয় আলেম শায়েখ মুরাদ বিন আমজাদ কি বলে সবাই ৩মিঃ খরচ করে একটু শুনে নিন ! http://youtu.be/jtohBPeZmKA
37) ডিজিটাল যুগের……………… !!!!!!!!!!!! আষ্টম আশ্চর্য!!!!!!!!

#আহলে_হাদিস_মসজিদ http://youtu.be/cGT1Auj9xis
38) রাজশাহী লা-মাযহাবী ফিতনা বিষয়ক আলোচনাঃ প্রসঙ্গ মুযাফফর ও আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ https://m.youtube.com/watch?sns=fb&v=3LNdtsgXFGU
39)সহিহ হাদিস ও ইমাম বুখারী রাহঃ ।

আজকাল যে সকল জাহিলরা বুখারী বুখারী বলে চিৎকার করে তাদের জন্য এই বয়ান টি শেয়ার করুন ।

40) লা-মাজহাবিদের গুরু নাছির উদ্দীন আলবানী কে?

ইমাম আবু হানিফা হচ্ছেন একজন তাবেঈ !

আলোচক-শায়খ মাওলানা জিয়া উদ্দিন দাঃবাঃ ।

মহা পরিচালক- জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর বিয়ানীবাজার সিলেট বাংলাদেশ

41) দুনিয়ার মধ্যে নবীর কোন উম্মত মাযহাবগতভাবে/দলগতভাবে নিজকে আহলে হাদীস দাবী করতে পারেনা, কোন সম্ভাবনাও নেই। By আল্লামা মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ দা.বা http://youtu.be/DfBUDVKpINM
42) আমরা কেন বলি কথিত আহলে হাদিসরা ইসলামের বিষাক্ত ভাইরাস,তা নিজেই দেখুন।! আকিকাহ কখন করতে হবে,এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে চরম মতবিরোধ । তাদের অনুসারীদের বলছি,আপনার কোন কথিত শায়েখ সত্য বলে?????http://youtu.be/lO14bfi6TDs
43) বিষয়- মুযাফফর বিন মহসিনের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত (পর্ব – ১) 

আলোচক: মাওলানা তাহমীদুল মাওলা ,

উস্তাজুল হাদীস- জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকা।

খতিব- মহানগর জামে মসজিদ, রামপুরা, ঢাকা।

দেখুন- https://www.youtube.com/watch?v=DNsradcQAPA
44) লা মাজহাবীদের মাজে কুকু্রের মত খামরা খামরী দেখুন ।

আসাদুল্লাহ গালিব ও আহলে হাদীস ফিরকা সম্পর্কে আবু সুমাইয়া মতিউর রহমানের স্পষ্ট অভিমত!

আসাদুল্লাহ গালিব ও আহলে হাদীস ফিরকা সম্পর্কে আবু সুমাইয়া মতিউর রহমানের স্পষ্ট অভিমত!

আবু সুমাইয়া মতিউর রহমান। একজন পরিচিত লামাযহাবী। তিনিও পরিস্কার জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ আহলে হাদীস আন্দোলনের সভাপতি [আসাদুল্লাহ গালিব] সাহেব ইসলামের নয় দাওয়াত দেন আহলে হাদীস নামক একটি ফিরকার। এ দল মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরাচ্ছে। এ দল একটি বিভ্রান্ত ফিরকা। এটি একটি কুফরী মতবাদ। 

ইসলামকে বিভক্তকারী ফিরকার নাম আহলে হাদীস ফিরকা।

আরো অনেক কিছুই শুনতে পাবেন আহলে হাদীস ফিরকা সম্পর্কে। যা পরিস্কার শব্দে জানাচ্ছেন আবু সুমাইয়া লামাযহাবী সাহেব।

45)ইমাম বুখারী রহঃ স্বীয় কিতাবে বর্ণিত হাদীস দ্বারা যা বুঝেননি, আমাদের লামাযহাবী ভাইয়েরা তা বুঝে গেছেন ইমাম বুখারী থেকে দুই লাইন বেশি বুঝে?!

বিস্তারিত ভিডিও দেখতে ও ডাউনলোড করতে- http://ahlehaqmedia.com/3236

ইউটিউব থেকে দেখতে- https://www.youtube.com/watch?v=n27wdcXb1SY

নতুন ভিডিও পেতে আহলে হক মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

আগামীকাল আসছে তাওহীদ পাবলিকেশন্সের প্রকাশিত বুখারী অনুবাদে তারাবীহ বিষয়ে জালিয়াতির পোষ্টমর্টেম ইনশাআল্লাহ।

46) লা-মাযহাবীদের সাহাবা বিদ্বেষঃ পরিস্কার শব্দে সুকণ্ঠের অধিকারী স্পষ্টভাসী রাসূল সাঃ এর প্রিয়ভাজন সাহাবী বিলাল রাঃ এর ক্ষেত্রে চরম ধৃষ্টতাসূচক অপবাদ আরোপ করলেন আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল মাদানী!

47) আমাদের দেশের লা-মাযহাবি সম্পদায়ের দুই গ্রুপ #কথিত_আহলে_হাদিস এবং #_কথিত_সালাফিদের কি নামে ডাকা উচিত???http://youtu.be/TNE1y5TFK8o

48) সব জাগায় চাপা চলেনা।আহলে হাদিস ভাইদের চাপা চলে কলেজ ভার্সিটিতে। শয়তান, পালায় আজান শুননে,আহলে হাদিস পালায়, কোন দেওবন্দী আলেম এর নাম শুনলে। যেমন প্রশ্ন  তেমন উত্তর।আশা করি ভাল লাগ বে, ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না http://youtu.be/wRjYVbDQyBA
49) নাসির উদ্দিন আল্বানীর সংকিপ্ত বায়ু ডাঁটা ।নাসিরুদ্দিন আল্বানী কেন গ্রহন যোগ্য নয় জানতে হলে দেখুন ভিডিও টি ।http://youtu.be/CQfoIAaL1xk
50) আলহামদুলিল্লাহ ।খুবই জরুরী এবং গুরুত্ত পূর্ণ কথাগুলি শুনুন , এবং সত্য কে জানার চেষ্টা করুন । আহলে হাদীস ফিরকার ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে আমরা কেন কথা বলছি? -Mufti Ijharul Islam Al kawsary http://youtu.be/6NGMBykiYDo
51) লা-মাজহাবী তথাকথিত আহলে হাদিস ফিরকার জালিয়াতির ইতিহাস দেখুন । http://youtu.be/7Y-GI6hQ8A0
52) নামধারী আহলে হাদিস লা মাজহাবীদের পরিচয় নিয়ে আহলে হাদিস দের মিথ্যাচার । http://youtu.be/8SYht8Bh1xw
52) মুহাম্মাদিউন থেকে আহলে হাদীস: একটি বাতিল মতবাদের জন্ম ইতিহাসআহলে হাদীস এই বাতিল মতবাদের উত্পত্তি ইন্ডিয়া-এ, তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হারাম ঘোসনা করে এবং বলে যে তাদের শাসন খোদার রহমত সরূপ।উহার প্রতিদান হিসাবে ব্রিটিশ এদের আহলে হাদিস হিসাবে নামকরণ করে ! http://youtu.be/KNE3PGalNk4

53) আসহাবুল হাদিস ও আসহাবুর রায় নিয়ে তথাকথিত নামধারী আহলে হাদিসদের মিথ্যাচার ও তার জবাব ! http://youtu.be/bQSuRQE5lXI

54) সংকিপ্ত একটি ভিডিও সবাই দেখুন ।আহলে হাদিস ফিরকার আলিমদের মাজে কত ইখতেলাফ ও মত বিরুধ । শুধু ২ রাকাত নামাজে তাদের মাজে ২৫ টি এখতেলাফ ।আফসুস উম্মতের উজ্জ্বল নক্কত্র ৪ ইমাম যদি কুনো বিশয়ে মত বিরুধ করেন তখন তারা চিল্লায় যে ইসলাম নাকি ৪ ভাগ হয়ে গেছে । অতচ এই জাহিল গুলি তাদের নিজেদের মাজে দেখুন কত এ খতেলাফ করে ।http://youtu.be/Rxv2mIyyCRg
55)  অনুরোধ আপনাদের প্রতিঃ সত্যিকার আহলে হাদীসদের অপমান করবেন না!পুরো বয়ান ওয়েব সাইট থেকে দেখতে- http://ahlehaqmedia.com/4577

ইউটিউব থেকে দেখতে- https://www.youtube.com/watch?v=RilHxHvLXzU

56) মুযাফফর বিন মুহসিনের কারামতঃ ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ১০টি ভুল তথ্য প্রদান!

মুযাফফর বিন মুহসিনের কারামতঃ ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ১০টি ভুল তথ্য প্রদান! 

মাশাআল্লাহ! এই না হলে লা-মাযহাবী শায়েখ? যে যত বেশি মিথ্যা ও প্রতারণা করতে পারে। যত বেশি ধোঁকা দিতে পারে, সে তত বড় শায়েখ হতে পারে আহলে হাদীস/লামাযহাবী দলের। যার একটি প্রকিষ্ট প্রমাণ দেখুন মুযাফফর সাহেবের মাত্র ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের বক্তব্যে বেধড়ক ১০ টি ভুল তথ্য প্রদান। 

লা-মাযহাবী হবার পরীক্ষায় পূর্ণ পাশ করেছেন মুযাফফর সাহেব। 

57) ইংরেজদের প্রডাক্ট নামধারী আহলে হাদিস লা মাঝাবীর দল , আমরা এবার জেগেছি তাই এখন তোঁদের পালানোর সময় ।http://youtu.be/8XTKEk3AnPk
58) কথীত আহালে হাদিস ইতিহাসেই ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী আছে তবে কেন…
কথীত আহালে হাদিস বন্ধুরা কেন আপনাদের ইতিহাস আপনারা ভুলে যান ? একটু দেখুন ইতিহাস কি বলে !

মাসিক আত-তাহরীক অত্যন্ত গর্বের সাথে ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদীর জীবনী ছাপল। বিখ্যাত আহলে হাদীস আলেম ও মনীষী হিসেবে প্রচার করলো। আমরা যখন তাদের এই মনীষীর জঘন্য মাসআলাগুলো আলোচনা করলাম, তখন কিছু আহলে হাদীস বলল, ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী আমাদের কেউ নয়। এরপর আবু জায়েদ জমীরের একটি লেকচার ধরিয়ে দিলো ওহিদুজ্জামান সম্পর্কে। সাহাবায়ে কেরামকে ফাসিক বলাসহ জঘন্য ফতোয়া প্রদানকারী এই আহলে হাদীসকে আত-তাহরীক বিখ্যাত মনীষী হিসেবে প্রচার পরও কিছু সো কলড আহলে আহলে হাদীস সেটা অস্বীকার করল। এই দ্বিমুখী আচরণের কারণটা ঠিকই বুঝতে পারছেন। বাকীটা নীচের ভিডিওতে দেখুন।

মাসিক আত-তাহরিকে ওহিদুজ্জামান সম্পর্কে মূল্যায়ন,

“‘শায়খুল কুল ফিল কুল’ মিয়াঁ নাযীর হুসাইন দেহলভীর (১৮০৫-১৯০২ খৃঃ) প্রায় সোয়া লক্ষ ছাত্রের মাঝে যারা নিজেদের ইলমী আভা বিকিরণে সদা তৎপর ছিলেন এবং গ্রন্থ রচনা ও হাদীছ শাস্ত্রের প্রচার-প্রসারে নিশিদিন অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করেছেন মাওলানা অহীদুয্যামান ছিলেন তাঁদের অন্যতম। ইমাম মুহাম্মাদ বিন সঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (রিয়াদ, সঊদী আরব) শিক্ষক ড. আব্দুর রহমান ফিরিওয়াঈ বলেন,

من مشاهير الهند وكبار تلامذة السيد نذير حسين. قضى حياةه فى نشر السنة النبوية، وله منة عظيمة على أهل الهند حيث قام بةرجمة وشرح كةب السنة إلى الأردية.

‘তিনি ভারতের প্রখ্যাত আলেম এবং সাইয়িদ নাযীর হুসাইনের বড় মাপের ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। হাদীছের প্রসারে তিনি তাঁর জীবন ব্যয় করেছেন। ভারতবাসীর ওপর তাঁর বড় অবদান রয়েছে। তিনি উর্দূতে হাদীছের গ্রন্থাবলী অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেন’।

জীবনের প্রথমদিকে তিনি কট্টর হানাফী ছিলেন। কিন্তু কালপরিক্রমায় ছহীহ হাদীছের উজ্জ্বল কিরণমালা মাওলানার আচরিত তাক্বলীদের অন্ধ প্রকোষ্ঠকে আলোকোজ্জ্বল করে তুললে তাঁর বিবেকের বদ্ধ দুয়ার খুলে যায়। এক সময় তিনি আহলেহাদীছ হয়ে যান।

আমাদের সামনে দু’টি অপশন আছে। ১. আবু জায়েদ জমীর সত্যবাদী। ওহিদুজ্জামান শিয়া হয়ে গিয়েছিলো। এবক্তব্য অনুযায়ী মাসিক আত-তাহরীক শিয়াদের মতাদর্শ প্রচার করছে। ২. আবু জায়েদ জমির মিথ্যুক। ওহিদুজ্জামান আহলে হাদীস মণীষী ছিলো। যেমনটি মাসিক আত-তাহরীক প্রচার করেছে। এই দু’টি বিষয়ের যে কোন একটি সত্য।

http://www.at-tahreek.com/april2011/4.html

পোষ্ট লেখক-হযরত Ijharul Islam Al-kawsary সাহেব

59)নামধারী “আহলে হাদিস ফিরকার ” নামটি ইংরেজ কর্তৃক বরাদ্দ হওয়ার প্রমাণ হযরত মাওলানা মুফতি মো. শামছুদ্দোহা। দা. বা. https://youtu.be/TdEN7ahKPjk
60) জামালপুরের সরিষাবাড়ি বাহাস থেকে কথিত আহলে হাদীসদের পলায়ন!

61) চরম, না দেখলে মিস করবেন !

 ” ঈদের নামাজের তাকবীর নিয়ে লা মাজহাবী মূর্খদের মাঝে খামরা খামরী ও  চরম মতবিরোধ “। (পর্ব – ১)

✴️62) লা-মাজহাবীদের মুখুশ খুলে দিলেন তাদেরই শায়খ, মুরাদ বিন আমজদ https://youtu.be/WBqeMWndRqI
63) চমৎকার একটি ভিডিও। না দেখলে তো অবশ্যই মিস করবেন !

উম্মতের উজ্জল নক্কত্র মুজতাহিদ ইমামগণ যখন কুনো মাসআলা নিয়ে এখতেলাফ ( মতবিরুধ ) করেন , তখন এরাই জুর গলায় চিল্লায় আর বলে যে ইসলাম কে ৪ ভাগে বিভক্ত করা হচ্চে , ইমামদের মানা যাবে না , ইমামদের কথা মানা হারাম !

আরও কত কিছু !

কিন্তূ দেখুন তাদের মাজে একটা মাসআলা নিয়ে কেমন মতবিরুধ আর একে অপর কে গালাগালি !

মজার বিষয় হচ্চে এই ভিডিও তে তারা শিকার করে নিছে যে ফির্কায়ে আহলে হাদিস নামে অনেক দল আছে !

64) ওরা আহলে হাদীস না আহলে ওয়াসওয়াসা?

শুরুতে শায়েখ মাঝখানে বিন শেষে মাদানী নামধারী আহলে ওয়াসওয়াসা থেকে সাবধান! ওরা আহলে হাদীস না আহলে ওয়াসওয়াসা!

পুরো বয়ান দেখতে ও ডাউনলোড করতে- http://ahlehaqmedia.com/2804

ইউটিউব থেকে দেখতে-https://www.youtube.com/watch?v=8iM29D_0NqI
✴️65) ডাঃ জাকির নাটকের মুরীদ, পিছলা টিভির বক্তা শায়েখ অাঃ রাজ্জাক বিন ইউছুফ বলেনঃ

স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করতে পারবে এতে স্ত্রী হারাম বা বাতিল হবেনা,

আমি ছাগলের ছোট ছানা বড় বড় আলেমদের সাথে আমি বাহাস করি না না না? আব্দুর রাজ্জাকের বিন ইউসুফonYouTubehttps:www.youtube.com/watch?v=zvvBTJKS8RQ&feature=youtube_gdata_playerWatch ”
66) আহলে হাদীসরা যে কালেমা কে শিরক বলে, অথবা বলে যে কালেমা সহীহ দলীল দারা প্রমানিতো না, এই অভিযোগ য়ের জরুরি ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স জবাব।

Youtube Link: https://www.youtube.com/watch?v=pP3vqLJM87k
67) মুসলমানদের মসজিদ নিয়ে লা মাজহাবীদের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র । ইসলাম কে ধংশকারী এই লা মাজহাবী ফিতনা থেকে সাবধান মুসল্মান । http://youtu.be/uXWLwmRiqtE
67) রসূলের প্রিয় সাহাবা আজমাইন সম্পর্কে উপমহাদেশের অন্যতম বড় আহলে হাদিস আলেম ওহিদুজ্জামান হায়দারাবাদির জগন্য এবং কুফুরী আকিদা।না শুনে মন্তব্য করবেন না প্রিজ।

আর যারা বলবে ওহিদুজ্জামান হায়দারাবাদি আহলে হাদিন না শিয়া ছিল তাদের জন্য https://m.youtube.com/watch?v=EYXf4Z9Ny3k

68) ইংরেজ রিরুদ্ধে আন্দোলনে কথিত আহলে হাদিস শায়খদের ভুমিকা কি ছিল? বর্তমান আহলে হাদিস শায়খরা সেই ইতিহাস দামাচাপা দেওয়ার নির্লজ্জ অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন

69) চ্যানেল গুলোতে যদি ওলামায় হক আসতেন তবে কেমন হতো জানতে ভিডিওটি …চ্যানেল গুলোতে যদি ওলামায় হক আসতেন তবে কেমন হতো জানতে ভিডিওটি দেখার ও শেয়ার করার অনুরোধ ।

এখন চিন্তা করুন বাংলাদেশের চ্যানেল গুলোতে যারা ভুল মাসায়েল বলে বগ বগ করে তাদের পেট পুজা কেমনে হত।

আমিও চাই না ওলামায় হক টিভিতে আসুক।

Youtube এ হযরতে ভিডিও গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়ার জন্য 

Subscribe বাটনে ক্লিক করে Subscribed করুন…

https://www.youtube.com/channel/UC-OiL4ZmVumS0UyZfoUCQZw
70) ইংরেজদের ডিভাইট এন্ড রোল থিউরী বাস্তবায়নকারী ফিরক্বার নাম কথিত আহলে হাদীস ফিরক্বা!

বিস্তারিত জানতে ভিডিও দেখুন

71) হাদীস মোতাবেক নয় আমল হবে সুন্নাহ মোতাবেক -Mufti Abul Kalam Zakaria

72) জেনে নিন ৪টি প্রশ্নের উত্তর ।

প্রশ্ন:ঈমাম কে?  

আহলে হাদিস কারা?

শবে বরাত আছে কি?

ঈমাম বোখারী কোন মাযহাব মানতেন?

বয়ান >আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাহেব

73) মতিউর রহমান মদানী,মুজাফফর বিন মহসিন,মুরাদ বিন আমজাদ সহ কথিত আহলে হাদিস শঘুসিত শায়েখেরা জেনে রাখুন ..আপনারা যা করছেন তা একসময়

ব্রেলভী বেদাতিরাও করেছিলো..

উলামায়ে দেওবন্দের নামে মিথ্যাচার করে উলামায়ে দেওবন্দ কে দাবিয়ে রাখা যাবে না , ইনশা আল্লাহ ।

✴️74) আমাদের এক সহি আলেমের দাবি ঈমাম আবু হানিফা(রঃ) সর্বমোট ১৭টি হাদিস জানতেন তো এর পরিপেক্ষিতে আমাদের পক্ষ হতে ৫মিঃ একটি ভিডিও পেশ করা হলো।আর পুরো ভিডিওর ইউটিউব লিংক https://m.youtube.com/watch?v=MJ8-LiCo09c
75) অস্থিত্ব বিলীন হওয়ার মুখে ফির্কায়ে আহলে হাদিস !

অনলাইনে আহলে নামধারী হাদিসদের  কিছু পোস্ট ও কমেন্ট দেখুন !

আল-হামদুলিল্লাহ গত শুক্রবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’ত আহনাফ ঊলামাদের সাথে নামধারি আহলে হাদীস ওলামাদের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় । সে বিতর্কে নামধারি আহলে হাদীস ঊলামাদের মিথ্যাচার জনসমক্ষে পরিস্কার হওয়ার দরুন ৩জন আহলে হদিীস তওবা করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’ত আহনাফে অন্তর্ভূক্ত হয় । তাদের একজনের ভিডিও সাক্ষাৎকার গ্রহন করা হয়, নিচের ভিডিওটি দেখুন !

✴️76) সহীহ্ হাদিসের উপর আমল করার

নাম করে এই তথা কথিত শায়েখেরা

আমাদের কোন পথে নিয়ে যেতে চায়?

✴️77) কথিত #আহলে_হাদীস আলেম ,শায়েখ শহীদুল্লাহ খান মাদানী সাহেবের এ কেমন ধোঁকাবাজির?

তারা নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সচরাচর হানাফি আলেম দের কিতাব থেকে মিথ্যা উদ্ধৃতি দেন,আল্লাহ আমাদের এই ফেতনা থেকে হেফাজত করুন।

78) “আসুন এক মিনিটে জেনে নাই কিছু বিদাতী বই ও কিছু বিদাতী আলিমদের লিস্ট । https://youtu.be/iwy6gUVXrd0
✴️79) কুরআন হাদিসের 

দলিল দিতে গিয়ে সহীহ

আক্বিদার মধ্যে এতো গেঞ্জাম

হচ্ছে কেন ?  

✴️80) ঈমাম বোখারী জঈফ হাদিস পেলে আমাদের দেশের আহলে হাদিস আলেমদের মত জাল ঘোষণা দিয়ো ছুরে ফেলে দিয়েছেন নাকি কাজে লাগিয়েছেন?জঈফ হাদিসের ব্যপারে ঈমাম বোখারীর আদর্শ কি ছিল?????

81) যাদের গুরুরা ইহুদি খিস্টানদের টাকা খেয়ে মুসলিম উম্মার ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছিল এখন তাদের শারগিদরা কাদের টাকা খেয়ে ঠিক একই কাজটা করে যাচ্ছে???

82) “ওরা কখনও আহলে হাদিস নয় বরং ওরা হাদিসের দুসমন”>আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাহেব।

কেন দুসমন জানতে হলে ৪মিঃ খরচ করুন

83) মনসুর হাল্লাজের বেপারে আল্লামা নুরুল ইসলাম অলিপুরী বয়ান নিয়ে ভন্ড আহলে হাদিসদের মিথ্যা অপপ্রচাররের জবাব !

http://m.youtube.com/watch?v=xa8TjZRS9IU&feature=share
✴️84) নতুন আরেক ফিতনার জন্ম হয়েছে ।

 সাবধান মুসলমান ।

 এইসকল ফিত্নাবাজ , আলীম নামধারী উলামায়ে ছু থেকে ।

কিছু নামধারী রিয়েল খেকো শায়েখ বলছে 

জুমার খুৎবার পূর্বে বয়ান করা নাকি বিদআত !!

এরা কাকে বলছে বিদআত করছে ? 

হযরত ওমর (রাঃ) কে ?

হযরত উসমান (রাঃ) কে ?

খুলাফায়ে রাসেদিনকে ??

সাহাবি আজমাইন কে ?

এই সব শায়েখদের আমরা বেয়াদব বলতেই পারি ! 

তারা কাদের খুশী রাখার জন্য এমন মিথ্যেচার করে যাচ্ছে ??

✴️85) সবাই শেয়ার করুন।

সিহা সিত্তার ব্যপারে হানাফি আলেমগনের বিরুদ্ধে আহলে হাদীস কর্তৃক উথ্যাপিত মিথ্যা অভিযোগের জবাব।

ইউটিউব লিংক https://m.youtube.com/watch?v=fCuXwmXow7Y
86) হায় হায় হায়!  কি বোমা ফাটালো এই মুরব্বি! কোটি কোটি টাকা, আর লাল গাড়ী আসে আহ্লে হাদিস ফিরকার নামে!  

জাতি জানতে চায় এদের এত টাকার উৎস কি?

তাহলে কি আহলে হাদীস চলে ইহুদী খ্রিষ্টানদের টাকায়। এইবার হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গলেন আহলে হাদীস শায়েখ ও সেক্রেটারি জেলারেল আহলে হাদীস আন্দোলন।

ইহুদি খ্রিষ্টানদের টাকা গালিব গ্রুপ থেকে  রাজ্জাক বিন ইউসুফ গ্রুপে। ইহুদী খ্রিষ্টানরা দামি গাড়ি আর কাড়ি কাড়ি টাকা দেয় আহলে হাদীসদের। শুনুন মাঃ নূরুল আমিনের বক্তিতায়।

✴️87) বাইং মাছের মত নামধারী এই শায়খ রা আর কত পিছলিয়ে পালাবে ?
শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেবের আবারো পলায়ন

কথা বলতে এত ভয় কিসের আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেব! আমাদের বলবেন কি?

শুনুন মোবাইল কথোপকথনে কতিপয় অর্বাচিন যুবকদের স্বপ্নের পুরুষ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেব কী বলছেন?

ওয়েব সাইট থেকে দেখতে ও ডাউনলোড করতে- http://ahlehaqmedia.com/3973

ইউটিউব থেকে শুনতে- https://www.youtube.com/watch?v=SR4RlLEcES0

যে আব্দুর রাজ্জাক সাহেব “সারা পৃথিবীর মানুষ টঙ্গির ইজতিমায় আসলে নাকি সারা পৃথিবীর মানুষই পাপী হয়ে যাবে মর্মে ফাতওয়া দিয়েছেন, টঙ্গির ইজতিমার মাঠে যাওয়া হারাম ফাতওয়া দিয়েছেন। এত স্পর্ধার সাথে যিনি দেশব্যাপী ফাতওয়াবাজী করে বেড়াতে পারেন, তিনি কেন উলামায়ে হকের সাথে বসতে ভয় পান? আমাদের কেউ জবাব দিবেন কি?

শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেবের ইতোপূর্বের আরো পলায়নের ফিরিস্তি জানতে পড়ুন-

যেভাবে পালিয়েছেন কথিত আহলে হাদীস শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ [পর্ব-১] http://ahlehaqmedia.com/1225

যেভাবে পালিয়েছেন কথিত আহলে হাদীস শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ [পর্ব-২] http://ahlehaqmedia.com/1226

যেভাবে পালিয়েছেন কথিত আহলে হাদীস শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ [পর্ব-৩] http://ahlehaqmedia.com/1233

যেভাবে পালিয়েছেন কথিত আহলে হাদীস শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ [শেষ পর্ব] http://ahlehaqmedia.com/1238

শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের ছেলের মাধ্যমে ছড়ানো অসত্য বক্তব্যের জবাব http://ahlehaqmedia.com/1243

শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের অসত্য বক্তব্যের জবাব ও প্রকাশ্য আলোচনার আহবান! http://ahlehaqmedia.com/1249

আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব ধোঁকাবাজ শায়েখ থেকে আমাদের দ্বীন ও ঈমানকে হিফাযত করুন। আমীন।

✴️88) আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের লিডার মোজ্জাফর বিন মহসিনের সমস্যা কি?? সবাই তার সাথে আলোচনার বা বাহাসের এতো অনুরোধ করছে কিন্তু ওনি ভয় পাচ্ছেন কেন আহলে হাদিস ভাইদের বলবো সমস্যা সমাধানে তাকে আলোচনায় বসতে বলেন…..

89) উলামায়ে দেওবন্দের হুংকার! বাতিলপন্থীদের মাদরাসা, মসজিদ তাদের আখরা যে কোন স্থানে বসার উন্মুক্ত আহবান!

90) কেন আমরা বলি যে, লা মাজহাবী হয়ার শেষ পরিনাম ইসলাম থেকে খারিজ হওয়া!

 দেখুন তার একটি প্রমান!

#কুরানেও নাকি কিছু সমস্যা আছে! এই কথা বলার পর এখানে উপস্তিত এই লা মাজহাবী কাট মুল্লা গুলি চুপ করে কেম্নে বসলো?

#মূর্খ_দরবেশ_বাবা_এটা_কি_কয়??

#এখন_প্রত্যেকে_যাচাই_করে_যে_কেউ_বলবে_হাদীস_সহীহ_তো_সহীহ

#জঈফ_তা_জঈফ ৷ 

#তার_মানে_এখন_হাদীস_শাস্ত্রের_উপর 

#মেথর 

#মুচি 

#চামার 

#নাপিত

#মূর্খ_গাধা

#টোকাই_এরাও_নিজের_ইচ্ছেমত_মতামত_দিবে???

ভদ্র ভাষায বলি এসমস্ত মূর্খ শায়েখ ও তাদের বলদ অনুসারীরা দ্বীনকে খেলনার জিনিসে পরিণত করছে ৷ 

কত বড় মূর্খ হলে এমন কথা বলতে পারে?

মূর্খ শায়খেরা ও তাদের অন্ধ ভক্তরা কোরআন মাজিদ দেখে দেখে শুদ্ধ করে পড়তে জানেনা ৷ 

আবার তারা উলূমুল হাদীসের উপর মতামত দিবে??

নাইযুবিল্লাহ ৷ 

একেই বলে গাধা নিয়ে হাল চাষ করানো ৷

91) আসুন আমরা এক টেবিলে বসে আলোচনা করতে চাই , আলচনে না করে উম্মত কে আর কত বিভ্রান্ত করবেন আপনারা ? কেন আপনারা আমাদের সাথে বসতে চান না ? কেন বার বার পালিয়ে বেড়ান ?

মুফতী শামশুদ্দোহা আশরাফি সাহেবের সাথে মজার একটি কথোপকথন ২৪ মিনিটের ওখান থেকে থেকে ৩মিঃ শেয়ার করা হলো।পুরো কথোপকথন অবশ্যই শুনুন ইউটিউব লিংক 

✴️92) ফিরকায়ে আহলে হাদিস লা মাজহাবীদের প্রতারণার ফিরিস্ত দেখুন ।

উলামায়ে দেওবন্দ তথা ৪ মাজহাবে কুনো মাসায়ীল নিয়ে এখতেলাফ হলে এটা হয়ে যায় ইসলাম কে ভাগ করা , সহিহ হাদিসের উপর আমল না করা ।

কিন্তু তাদের বেলায় ভিন্নরুপ ।

সহীহ্ হাদিসের উপর আমল করার

নাম করে এই তথা কথিত শায়েখেরা

মানুষদের  কোন পথে নিয়ে যেতে চায়?

✴️93) চরমপন্থী লা-মাযহাবীদের আমল ও আকিদাহ বাতিল (ভিডিও সহ)

-আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী দাঃবাঃ

লা-মাযহাবীরা বলে রাসূল সাঃ রওজা শরিফে মুরদা(নাউযুবিল্লাহ) আর আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদাহ সমস্ত নবী রাসূলগণ রওজা শরিফে জিন্দা । লা-মাযহাবীদের বাতিল আকিদাহ আসমানের নিচে আল্লা নাই। এরা বলে তারাবীহ এর নামায আট রাকাত, হাদীসে পরিস্কার বলা হয়েছে তারাবীহ এর নামায বিশ রাকাত, লা-মাযহাবীদের আকিদাহ ও আমল বাতিল ।

94) ইমাম বুখারী রাহঃ ও কথিত আহলে হাদিস নামধারী গাইর মুকাল্লিদ বিদাতী ফিরকা । উর্দু বয়ানঃ মাওঃ আমিন সাফদার রাহঃ

✴️95) বুখারী অনুবাদের ভূমিকাতেই এ কেমন জালিয়াতি ও মিথ্যাচার?

মুজাফফর বিন মুহসিন ও তাওহীদ পাবলিকেশন্সের বুখারী অনুবাদকদের অবাক করা মিথ্যা ও মুর্খতা! না দেখলে বিশ্বাসই হবে না সহীহ হাদীসের নামে মানুষ এত প্রতারণা করতে পারে? 

ওয়েব সাইট থেকে দেখতে ও ডাউনলোড করতে- http://ahlehaqmedia.com/3730

ইউটিউব থেকে দেখতে- https://www.youtube.com/watch?v=eIJsBFOK8LU
96) আহলে হাদীস নামধারীদের ইংরেজ মোহাব্বতের ইতিহাস

উপমহাদেশের ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের সংগ্রামমুখর সময়ে কথিত আহলে হাদীসরা কার পক্ষে কাজ করেছেন?

একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রতিটি মুসলমানদের জানা জরুরী। 

কারা সময় সময় বর্হিশক্তিকে শক্তিশালী করতে মুসলিমদের মাঝে বিবাদের আগুন ছড়িয়ে দেয়?

কারা তাগুতের সাথে হাত মিলায় হকের বাতি নির্বাপিত করে দিতে?

কারা ইহুদী খৃষ্টানদের স্বপ্ন সাধ বাস্তবায়নে ‘ডিবাইট এন্ড রোল’ বাস্তবায়নে করে যায় জাতির সাথে গাদ্দারী? 

ওরা কারা? 

কারা দ্বীনের মুখোশ পড়ে ঝগড়ার আখরা বানায় মসজিদ মাদরাসাকে?

জানতে হলে আপনাকে দেখতেই হবে উক্ত ভিডিওটি। 

ওয়েব সাইট থেকে দেখতে ও ডাউনলোড করতে- http://ahlehaqmedia.com/3807

ইউটিউব থেকে দেখতে- https://www.youtube.com/watch?v=awJpRIU6eJk
97) উম্মতের মুজতাহিদ ইমাম গন কুনো মাসআলা নিয়ে এখতেলাফ করলে ওরা জুর গলায় চিল্লায় যে দীন খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যাচ্ছে , কিন্তু এই জাহিল গুলি যখন নিজেদের মাজে কুনো কিছু নিয়ে মতবিরুধ করে তখন দ্বীন খণ্ড হয় না বরং সব ঠিক আছে ।

আকীকার সময় নিয়ে নামধারী আহলে হাদিস ফিরকার মূর্খ শায়খদের  মধ্যে চরম মতবিরোধ দেখুন ।

98) কুনো মুসল্মান আহলে হাদিস হতে পারে না , সকল মুসলমানের একই পরিচয় আহলে ছুন্নাত অয়াল জামাত ! http://youtu.be/2D1VueJEhzI
99)  মতিউর রহমান জালানী সাহেবের ঈমাম আবু হানিফা(রঃ) নিয়ে আরেকটি জালিয়াতি ধরা হলো সবাই দেখবেন আশা করি !

100) রসূল(সঃ) ইন্তেকালের পর আল্লাহ শয়তানের যে তিনটি ফেৎনা থেকে উম্মতী মুহাম্মদকে হেফাজত করেছেন।ফেৎনাগুলো কি ছিল???

বিয়ে সাধি, Uncategorized

​হাদীসের আলোকে প্রিয়তমা স্ত্রীকে ভালবাসার কার্যকরি পন্থা

হাদীসের আলোকে প্রিয়তমা স্ত্রীকে ভালবাসার কার্যকরি পন্থা, যা বর্তমান সময়ে বলতে গেলে পরিত্যক্ত। সে আদর্শে ফিরে আসা সকল মু’মিনের জন্য কর্তব্য।

★★★★★★★★★★★★★★★★★
১/ প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে হাসিমুখে কথা বলাঃ

• ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ : ” ﺗﺒﺴﻤﻚ ﻓﻲ ﻭﺟﻪ ﺃﺧﻴﻚ ﻟﻚ ﺻﺪﻗﺔ .”

_ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ 1956 ‏) _.

আর এর জন্যে স্ত্রী সবচাইতে বেশী হকদার।
২/ প্রিয়তমার মুখে খাবারের লুকমা তুলে দেওয়া এবং তার প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দিকে লক্ষ্য রাখাঃ

• ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ : ” ﺇﻧﻚ ﻟﻦ ﺗﻨﻔﻖ ﻧﻔﻘﺔ ﺇﻻ ﺃﺟﺮﺕ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺣﺘﻰ ﺍﻟﻠﻘﻤﺔ ﺗﺮﻓﻌﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﻓﻢ ﺍﻣﺮﺃﺗﻚ .” _ ‏( ﻣﺘّﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ ‏) _.
৩/ প্রিয়তমার পানীয় দ্রব্যের অবশিষ্টাংশ পান করে তার প্রতি ভালবাসার প্রমাণ দেওয়াঃ

• ﻓﻌﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻗﺎﻟﺖ : ” ﻛﻨﺖ ﺃﺷﺮﺏ ﻭﺃﻧﺎ ﺣﺎﺋﺾ ، ﺛﻢ ﺃﻧﺎﻭﻟﻪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﷺ ، ﻓﻴﻀﻊ ﻓﺎﻩ ﻋﻠﻰ ﻣﻮﺿﻊ ﻓﻲَّ ، ﻓﻴﺸﺮﺏ ، ﻭﺃﺗﻌﺮﻕ ﺍﻟﻌﺮﻕ ﻭﺃﻧﺎ ﺣﺎﺋﺾ ، ﺛﻢ ﺃﻧﺎﻭﻟﻪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﷺ ﻓﻴﻀﻊ ﻓﺎﻩ ﻋﻠﻰ ﻣﻮﺿﻊ ﻓﻲَّ ، ﻓﻴﺸﺮﺏ .”

_ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ‏) _.
৪/ স্ত্রীর উরুতে টেক দিয়ে শোয়ে তার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা বুঝানোঃ

• ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻗﺎﻟﺖ : ” ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻳﺘﻜﺊ ﻓﻲ ﺣﺠﺮﻱ ، ﻓﻴﻘﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﺃﻧﺎ ﺣﺎﺋﺾ .”

_ ‏( ﻣﺘّﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ ‏) _.
৫/ স্ত্রীর সাথে একই বালতী বা গোসলের পাত্র থেকে গোসল করাঃ

• ﻓﻔﻲ ﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻭﺃﻡ ﺳﻠﻤﺔ ﻭﻣﻴﻤﻮﻧﺔ ﻭﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ – : ” ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﷺ ﻛﺎﻥ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻫﻮ ﻭﺯﻭﺟﺘﻪ ﻣﻦ ﺇﻧﺎﺀ ﻭﺍﺣﺪ ﺣﺘﻰ ﻳﻘﻮﻝ ﻟﻬﺎ : ﺃﺑﻘﻲ ﻟﻲ ‏( ﺃﻱ ﺍﻟﻤﺎﺀ ‏) ﻭﺗﻘﻮﻝ ﻫﻲ : ﺃﺑﻖ ﻟﻲ .”

_ ‏( ﻣﺘّﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ ‏) _.
৬/ স্ত্রীর সাথে বিনোদন ও মজাক করাঃ

• ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻟﺠﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ : ” ﻫﻼ ﺑﻜﺮًﺍ ﺗﻼﻋﺒﻬﺎ ﻭﺗﻼﻋﺒﻚ .”

_ ‏( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ ‏) _.

• ﻭﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﺃﻧﻬﺎ ﻛﺎﻧﺖ ﻣﻊ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﷺ ﻓﻲ ﺳﻔﺮ ، ﻭﻫﻲ ﺟﺎﺭﻳﺔ ، ﻓﻘﺎﻝ ﻷﺻﺤﺎﺑﻪ : ﺗﻘﺪﻣﻮﺍ ، ﻓﺘﻘﺪﻣﻮﺍ ، ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻟﻬﺎ : ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺃﺳﺎﺑﻘﻚ .”

_ ‏( ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ 1/254 ‏) _.
৭/ স্ত্রীকে ঘরের কাজ-কর্মে সহযোগিতা করাঃ

• ﺳﺌﻠﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻳﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺑﻴﺘﻪ ؟ ﻗﺎﻟﺖ : ﻛﺎﻥ ﺑﺸﺮﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﺒﺸﺮ ﻳﻔﻠﻲ ﺛﻮﺑﻪ ﻭﻳﺤﻠﺐ ﺷﺎﺗﻪ ﻭﻳﺨﺪﻡ ﻧﻔﺴﻪ .”

_ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻷﺩﺏ ﺍﻟﻤﻔﺮﺩ ._(4996
৮/ স্ত্রীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখাঃ

• ﻗﺎﻟﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ : ” ﺇﺫﺍ ﺩﺧﻞ ﺑﻴﺘﻪ ﺑﺪﺃ ﺑﺎﻟﺴﻮﺍﻙ .”

_ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ ‏) _.
৯/ প্রিয়তমার মনোরঞ্জনে সুগন্ধি ব্যবহার ও উত্তম পোষাক পরিধান করাঃ

• ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ – : ” ﺇﻧﻲ ﺃﺣﺐ ﺃﻥ ﺃﺗﺰﻳﻦ ﻟﻬﺎ ﻛﻤﺎ ﺃﺣﺐ ﺃﻥ ﺗﺘﺰﻳﻦ ﻟﻲ .”

_ ‏( ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ ‏) _.
১০/ প্রিয়তমাকে সংক্ষিপ্ত নামে ডাকা ও এমনসব শব্দ দ্বারা তাকে সম্বোধন করা যা সে পছন্দ করেঃ

• ﻛﺎﻥ ﷺ ﻳﻘﻮﻝ ﻟـ ‏[ ﻋﺎﺋﺸﺔ ‏] : ” ﻳﺎ ﻋﺎﺋﺶ ، ﻳﺎ ﻋﺎﺋﺶ ﻫﺬﺍ ﺟﺒﺮﻳﻞ ﻳﻘﺮﺋﻚ ﺍﻟﺴﻼﻡ .”

_ ‏( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ ‏) _.

• ﻭﻛﺎﻥ ﻳﻘﻮﻝ ﻟﻌﺎﺋﺸﺔ ﺃﻳﻀﺎ : ” ﻳﺎ ﺣﻤﻴﺮﺍﺀ .”

_ ‏( ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ 818/7 ‏) _.

* ﻭﺍﻟﺤﻤﻴﺮﺍﺀ ﺗﺼﻐﻴﺮ ﺣﻤﺮﺍﺀ ﻳﺮﺍﺩ ﺑﻬﺎ ﺍﻟﺒﻴﻀﺎﺀ *.

• ﻭﻗﺎﻟﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻞ ﻧﺴﺎﺋﻚ ﻟﻬﺎ ﻛﻨﻴﺔ ﻏﻴﺮﻱ ، ﻓﻜﻨّﺎﻫﺎ ” ﺃﻡ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ .”

_ ‏( ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ 255/1 ‏) _.
১১/ স্ত্রীর দোষত্রুটি থাকলে সেগুলো থেকে চশমপুশি করা তথা না দেখার ভান করে থাকাঃ

• ﻗﺎﻝ ﷺ : ” ﻻ ﻳﻔﺮﻙ ‏( ﺃﻱ ﻻ ﻳﺒﻐﺾ ‏) ﻣﺆﻣﻦٌ ﻣﺆﻣﻨﺔ ﺇﻥ ﻛﺮِﻩَ ﻣﻨﻬﺎ ﺧُﻠُﻘﺎً ﺭﺿﻲ ﻣﻨﻬﺎ ﺁﺧﺮ .”

_ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ‏) _.
১২/ প্রিয়তমার প্রতি সহমর্মিতা দেখানো এবং কখনো কাঁদলে অশ্রু মুছে দেওয়াঃ

• ﻗﺎﻝ ﺃﻧﺲ : ﻛﺎﻧﺖ ﺻﻔﻴﺔ ﻣﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻓﻲ ﺳﻔﺮ ، ﻭﻛﺎﻥ ﺫﻟﻚ ﻳﻮﻣﻬﺎ ، ﻓﺄﺑﻄﺄﺕ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﻴﺮ ، ﻓﺎﺳﺘﻘﺒﻠﻬﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻭﻫﻰ ﺗﺒﻜﻲ ، ﻭﺗﻘﻮﻝ ﺣﻤﻠﺘﻨﻲ ﻋﻠﻰ ﺑﻌﻴﺮ ﺑﻄﻲﺀ ، ﻓﺠﻌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻤﺴﺢ ﺑﻴﺪﻳﻪ ﻋﻴﻨﻴﻬﺎ ، ﻭﻳﺴﻜﺘﻬﺎ .. .”

_ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ‏) _.
১৩/ স্ত্রীর জবানদরাজী বা বাকবিতণ্ডা বরদাশত করাঃ

• ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻗﺎﻝ : ﺻﺨﺒﺖ ﻋﻠﻲّ ﺍﻣﺮﺃﺗﻲ ﻓﺮﺍﺟﻌﺘﻨﻲ ‏( ﺃﻱ ﻧﺎﻗﺸﺘﻨﻲ ﻓﻲ ﻣﻮﻗﻒ ‏) ، ﻓﺄﻧﻜﺮﺕُ ﺃﻥ ﺗﺮﺍﺟﻌﻨﻲ ! ﻗﺎﻟﺖ : ﻭﻟِﻢَ ﺗُﻨﻜﺮ ﺃﻥ ﺃﺭﺍﺟﻌَﻚ؟ ﻓﻮﺍﻟﻠﻪ ﺇﻥ ﺃﺯﻭﺍﺝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﷺ ﻟﻴﺮﺍﺟِﻌْﻨﻪ .. .”

_ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏) _.
১৪/ স্ত্রীর পাকানো খাদ্যে ত্রুটি না খোজাঃ

• ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ – ﻗﺎﻝ : ” ﻣﺎ ﻋﺎﺏ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﷺ ﻃﻌﺎﻣﺎ ﻗﻂ ﺇﻥ ﺍﺷﺘﻬﺎﻩ ﺃﻛﻠﻪ ﻭﺇﻻ ﺗﺮﻛﻪ .”

_ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏) _.
১৫/ প্রিয়তমা যে খেদমত আন্জাম দেয় এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাঃ

• ﻗﺎﻝ ﷺ : ” ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺸﻜﺮ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻟﻢ ﻳﺸﻜﺮ ﺍﻟﻠﻪ .”

_ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺘﺮﻏﻴﺐ ﻭﺍﻟﺘﺮﻫﻴﺐ 976 ‏) _.
১৬/ স্ত্রীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বান্ধবীদের প্রতি সম্মান দেখানোঃ

• ﻗﺎﻟﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – : ” ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻟﻴﺬﺑﺢ ﺍﻟﺸﺎﺓ ﻓﻴﺘﺘﺒﻊ ﺑﻬﺎ ﺻﺪﺍﻳﻖ ﺧﺪﻳﺠﺔ ﻓﻴﻬﺪﻳﻬﺎ ﻟﻬﻦ .”

_ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ‏) _.
১৭/ স্ত্রীকে সবসময়ের জন্যে জীবনসঙ্গী হিসাবে রাখার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়াঃ

• ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻋﻦ ﻗﺼﺔ ﺃﻡ ﺯﺭﻉ ﻭﺯﻭﺟﻬﺎ ﺍﻟﺬﻱ ﻛﺎﻥ ﻳﺤﺴﻦ ﺇﻟﻴﻬﺎ ﺛﻢّ ﻓﺎﺭﻗﻬﺎ ؛ ﻗﺎﻝ ﷺ ﻟﻌﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻋﻨﺪﻫﺎ : ” ﻛﻨﺖ ﻟﻚ ﻛﺄﺑﻲ ﺯﺭﻉ ﻷﻡ ﺯﺭﻉ ﻏﻴﺮ ﺃﻧﻲ ﻻ ﺃﻃﻠﻘﻚ .”

_ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏) _.
১৮/ দুঃসময় ও বিপদআপদে প্রিয়তমার পাশে থাকা ও অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাঃ

• ﻗﺎﻟﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻓﻲ ﻗﺼّﺔ ﺍﻹﻓﻚ : ﻛﻨﺖ ﺇﺫﺍ ﺍﺷﺘﻜﻴﺖ ﺭﺣﻤﻨﻲ ﷺ ، ﻭﻟﻄﻒ ﺑﻲ ، ﻓﻠﻢ ﻳﻔﻌﻞ ﺫﻟﻚ ﺑﻲ ﻓﻲ ﺷﻜﻮﺍﻱ ﺗﻠﻚ ﻓﺄﻧﻜﺮﺕ ﺫﻟﻚ ﻣﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﺩﺧﻞ ﻋﻠﻲ ﻭﻋﻨﺪﻱ ﺃﻣﻲ ﺗﻤﺮّﺿﻨﻲ ﻗﺎﻝ : ﻛﻴﻒ ﺗﻴﻜﻢ ! ﻻ ﻳﺰﻳﺪ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ .”

‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏)

• ﻭﻋﻨﻬﺎ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – ﻗﺎﻟﺖ : ” ﻛﺎﻥ ﷺ ﺍﺫﺍ ﻣﺮﺽ ﺃﺣﺪٌ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺑﻴﺘﻪ ﻧﻔﺚ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻤﻌﻮﺫﺍﺕ .”

_ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ‏) _.
১৯/ ইবাদত-বন্দেগী এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুম আদায়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীকে সহযোগিতা করাঃ

• ﻗﺎﻝ ﷺ : ” ﺭﺣﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺟﻼً ﻗﺎﻡ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻴﻞ ، ﻓﺼﻠﻲ ﻭﺃﻳﻘﻆ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ، ﻓﺄﻥ ﺃﺑﺖ ﻧﻀﺢ ﻓﻲ ﻭﺟﻬﻬﺎ ﺍﻟﻤﺎﺀ .”

_ ‏( ﺳﻨﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ ‏) _.
২০/ প্রিয়তমাকে নির্ভয় দেওয়া, আস্থাশীল রাখা ও ভয় না দেখানোঃ

• ﻧﻬﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ : ” ﺃﻥ ﻳﻄﺮﻕ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺃﻫﻠﻪ ﻟﻴﻼً ﻭﺃﻥ ﻳﺨﻮﻧﻬﻢ ، ﺃﻭ ﻳﻠﺘﻤﺲ ﻋﺜﺮﺍﺗﻬﻢ .”

_ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ ‏) _.
২১/ ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় প্রিয়তমাকে চুমু খেয়ে নির্ভেজাল ও স্বচ্ছ ভালবাসা প্রদর্শন করাঃ

• ﻗﺎﻟﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ – : ” ﻗﺒّﻞ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﷺ ﺑﻌﺾ ﻧﺴﺎﺋﻪ ﺛﻢ

ﺧﺮﺝ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﻟﻢ ﻳﺘﻮﺿﺄ .”

_ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭﻗﻮّﺍﻩ)
(সংগ্রীহিত)

Islamic History, Uncategorized

ওসমানি খিলাফত

ওসমানী খিলাফাহর সময়ে যখন কোন সুলতানের কাছে রাজপ্রাসাদের অন্দরমহল থেকে এই সংবাদ আসত যে, তার অর্ধাঙ্গিনী- সম্রাজ্ঞীর প্রসব বেদনা আরম্ভ হয়ে গেছে, তখন সুলতান কুরআন তেলাওয়াত শুরু করে দিতেন। সুলতান কুরআন তেলাওয়াত করতেন আর অত্যন্ত উদ্বেগ আর উতকন্ঠার সাথে অপেক্ষা করে চলতেন ভেতর থেকে কখন খবর আসবে যে, ওসমানী খিলাফাহর রাজপ্রাসাদকে আলোকিত করে তার কোল জুড়ে একটি ফুটফুটে সন্তানের শুভাগমন ঘটেছে এই ধরাতে!
একবার সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের কাছে অন্দরমহল থেকে সংবাদ আসল যে, ভেতরে সম্রাজ্ঞীর প্রসব বেদনা আরম্ভ হয়ে গেছে। সংবাদটি শুনতেই সুলতান কুরআন তেলাওয়াতে বসে গেলেন। তিনি যখন সুরা মুহাম্মদ শেষ করে সুরা আল-ফাতহ শুরু করেছেন, ঠিক তখনই ভেতর থেকে খবর আসল যে, তার একটি পুত্রসন্তান দুনিয়াতে আগমন করেছে। সাথে সাথে সুলতান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন। পুত্রের নাম রাখলেন ‘মুহাম্মদ’, আর বললেন, ইনশাআল্লাহ সে অনেক অঞ্চল বিজয় করে খিলাফাহর আয়তনকে আরও বর্ধিত করবে। 

হ্যাঁ, এই মুহাম্মদই হলেন সুলতান মুহাম্মদ আল- ফাতিহ। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ী। তার হাতেই বিজিত হয়েছে কনস্টান্টিনোপল। তার হাতেই রাসুল সা. এর ভবিষ্যতবাণী প্রতিফলিত হয়েছে।
তদ্রুপ সুলতান প্রথম সেলিমের কাছে অন্দর মহল থেকে খবর আসল যে, সম্রাজ্ঞীর প্রসব বেদনা শুরু হয়ে গেছে। সুলতান কুরআন তেলাওয়াতে বসে পড়লেন। যখন তিনি সুরা আন-নামল এর “ইন্নাহু মিন সুলাইমানা ওয়া ইন্নাহু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” আয়াত পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন অন্দরমহল থেকে সুসংবাদ আসল যে, আল্লাহ তাকে একটি পুত্রসন্তান দান করেছেন। সুসংবাদটা শুনে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করলেন আর নবজাতক পুত্রের নাম রাখলেন ‘সুলাইমান’।
হ্যাঁ, এই সুলাইমানই হলেন সুলতান সুলাইমান কানুনী।সুলাইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট।আর তাইতো সুলতান সুলাইমান আল কানুনী কোন চিঠিপত্র লিখতে গেলে এভাবে শুরু করতেন-  “ইন্নাহু মিন সুলাইমানা ওয়া ইন্নাহু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম…………”
সূত্রঃ أرشيف التاريخ العثماني-Ottoman History Archive

আত্মশুদ্ধি

আমাদের সালাফ

উমর রাযিঃ এর খিলাফত আমলের কথা। মুসলমানরা ইরানীদের থেকে এইমাত্র মাদায়েন শহর জয় করেছে। সকলে মিলে গনিমতের মাল একত্র করছে । ঠিক এ সময়ে এক ব্যক্তি একটি বড় পাত্র নিয়ে হাজির হলেন। সম্পূর্ন পাত্রটি  বহুমূল্য জাওয়াহেরাতে পূর্ণ ছিল। তিনি পাত্রটি গনীমতের দায়িত্বশীলদের বুঝিয়ে দিলেন। সবাই তা দেখে বিস্মিত হয়ে বলল, এরকম মহামূল্য সম্পদ তো আমরা কখনো দেখিনি। এ তো গনীমতের সমুদয় সম্পদের চেয়েও মূল্যবান! 
তারা ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করল-

هل أخذت منه شيئا؟

এখান থেকে কিছু নিজের জন্য রেখে দাওনি তো?
আগন্তুক বললেন-

أَمَا وَاللهِ لَوْلاَ اللهُ مَا أَتَيْتُكُمْ بِه

শোনো! আল্লাহর ভয় না থাকলে এটা তোমাদের কাছে নিয়ে আসতাম না।
সবাই বুঝতে পারল, তিনি সাধারণ মানুষ নন। তারা জিজ্ঞাসা করল, আপনি কে? আপনার পরিচয় দিন। তিনি বললেন-

لا والله لا أخبركم لتحمدوني، ولا غيركم ليقرظوني، ولكني أحمد الله وأرضى بثوابه .

আল্লাহর কসম! আমার না আছে প্রশংসার প্রয়োজন, না কারো স্বীকৃতির। সুতরাং কারো কাছেই আমি আমার পরিচয় প্রকাশ করব না। আমি আল্লাহর প্রশংসা করি এবং তাঁর প্রতিদানেই সন্তুষ্ট।

 

এ বলে তিনি প্রস্থান করলেন। তারা এক লোককে তাঁর পিছু পিছু পাঠাল। সে লোকদের কাছ থেকে জেনে এল যে, তিনি ছিলেন আমের ইবনে আব্দে কায়স আলকায়সী। বিখ্যাত ইবাদতগুযার তাবেয়ী। বসরায় ইবাদত-বন্দেগীতে সর্বপ্রথম তিনিই প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন।
 ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন ইমাম ইবনে জারীর তবারী রাহ. তার ‘তারীখুল উমুমি ওয়াল মুলূক’ (৪/১৭৬) কিতাবে।

আত্মশুদ্ধি

দাম্পত্য জীবনের মূল্যবান উপদেশ 

এক আরবী কবি স্বীয় নবপরিণীতা স্ত্রীকে কবিতার চারটি পংক্তির মাধ্যমে অমায়িক

ভাষায় বাসর রাতে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন। 

 মুসলিম ভাই- বোনদের উপকারার্থে তা উপস্থাপন করলাম। 
তিনি বলেন:-
১. “হে প্রিয়তমা! যদি কখনও আমার ভুল- ত্রুটি প্রকাশ পায়, 

তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। যাতে করে, তোমার প্রেম-

ভালোবাসা সর্বদা আমার হৃদয় কোণে বিদ্যমান থাকে। 

আর যখন আমি রাগান্বিত হব, আমার সম্মুখে কোনো কথার উত্তর

দিবে না, বরং নীরব থাকবে।”
২. ” আমাকে সেভাবে বাজাবে না- যেভাবে ঢোল- তবলা বাজানো হয়। কেননা, তুমি

জাননা যে, তার ফলাফল কি হবে? ” অর্থাৎ তুমি যদি আমার ক্রোধের সময়

নীরবতা পালন না কর, তাহলে হয়তো আমার মুখ দ্বারা অপ্রত্যাশিত এমন

অবাঞ্ছিত কথা প্রকাশ পেতে পারে যার দ্বারা আজীবন তোমাকে অশান্তি ভোগ

করা লাগতে পারে, আর আমাকেও দুঃখের সাগরে ভাসাতে পারে।
৩. ” অভিযোগ – শিকায়াত অধিক পরিমানে করো না। স্বরণ রাখবে, কথায়

কথায় অভিযোগ করা এত খারাপ অভ্যাস যে, তা স্বামী – স্ত্রীর প্রেমময় বন্ধনকে

ধ্বংস করে দেয়। তাতে বৎসর বৎসর ধরে সঞ্চিত প্রেম- ভালোবাসা

নিমেষে নিঃশেষ হয়ে যায়। আল্লাহ না করুন, যদি তুমি এতে জড়িত হয়ে পড়, তাহলে

আমার অন্তরে তোমার প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মাতে পারে। কেননা, অন্তরের ভাব

পরিবর্তনে বিলম্ব লাগে না।”

.

৪. ” আমি তো এটাই দেখেছি যে, স্বামীর পক্ষ থেকে প্রেম ভালোবাসা আর

স্ত্রীর পক্ষ থেকে নাফরমানী ও অবাধ্যতা অর্থাৎ স্বামীর বিরুদ্ধে বারংবার

অভিযোগ উত্থাপন কিংবা স্বামীর ক্রোধের সময় স্ত্রীর রাগান্বিত হওয়া বা স্বামীর

সাথে কথায় কথায় বিতর্ক করা, তার মুখের উপর জবাব দেয়া এ দুটো বিপরীতমুখী

বিষয় যখন একত্রিত হয়, তখন স্বামীর অন্তর থেকে সেই স্ত্রীর মুহাব্বত দ্রুত

বিলুপ্ত হয়ে যায়।”

আত্মশুদ্ধি

ফেরাউনের লাশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ 

একজন শাইখ মিসরের যাদুঘর পর্যটন করতে গেলেন। ফিরাঊনের মমিকৃত লাশকে অবলোকন করার সময় তিনি দেখতে পেলেন যে, একজন পর্যটক ফিরাঊনের লাশের সাথে কথা বলে চলছে। তিনি চুপচাপ শুনতে থাকলেন। ঐ ব্যক্তি ফিরাঊনকে সম্বোধন করে বলছে, হে ফিরাঊন! আমি তোমার দ্বারা দশটি শিক্ষা গ্রহণ করেছি। 

.

.

(১) আমি তোমার দ্বারা শিক্ষা গ্রহণ করেছি যে, আল্লাহর নির্ধারিত তাক্বদীর অবশ্যই প্রতিফলিত হয়। যখন তুমি হাজার হাজার শিশুকে হত্যা করলে, যাতে মূসা আ. জন্মলাভ না করেন। কিন্তু যখন জন্ম গ্রহণ করলেন, তখন তাঁকে তুমি তোমার ঘরেই লালনপালন করলে! 

.

(২) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, অন্তর আল্লাহর হাতে থাকে, মানুষের হাতে নয়। যখন তুমি মুসা আ. কে তাঁর মা থেকে বঞ্চিত করলে, আল্লাহ তখন তোমার স্ত্রীর অন্তর নরোম করে দিলেন! তুমি তাঁকে তাঁর মা থেকে বঞ্চিত করলে, আল্লাহ তাঁকে আরও উত্তম একজন মা দান করলেন!

.

(৩) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, কোন মানুষ অপর কোন মানুষকে নষ্ট করতে পারেনা। যে কামরায় তুমি দম্ভ ভরে বলতে, “আনা রাব্বুকুম আ’লা”, পাশের কামরায় তোমার স্ত্রী বলতো, “সুবহানা রাব্বি আল-আ’লা”!

.

(৪) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, ঘর কেবল কয়েকটি দেয়ালের নাম। দু’জন স্বামী-স্ত্রী একই ছাদের নিচে থাকা সত্বেও একে অপরের জন্য অপরিচিত হতে পারে। সুতরাং দু’জন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একমাত্র অন্তরসম্পন্ন সত্তা জোড়া লাগাতে পারেন, ঘরের ছাদ নয়! 

.

(৫) তোমারা দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, একটি সেনাবাহিনী কোন মুমিনের অন্তর থেকে ঈমানকে ছিনিয়ে নিতে পারেনা। জাদুকরদের তোমার সেনাবাহিনী ভয় দেখাতে পারেনি। তদ্রুপ কেশ বিন্যাসকারিনীকেও ভয় দেখাতে পারেনি তোমার ফুটন্ত তেল! 

.

(৬) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, রক্ত কখনও পানি হয়না। এবং একজন বোন তার ভাইকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে যখন বলেছে, “হাল আদুল্লুকুম”। এবং একজন ভাই একথা বলতে মোটেও দ্বিধাবোধ করেনি যে, তার ভাই তার থেকে স্পষ্টভাষী!

.

(৭) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, ভৃত্যরা তাদের জল্লাদদের নিজ হাতেই গড়ে তুলে। তোমার জন্য তোমার জাতির পিঠকে ঝুঁকানো সম্ভব হতোনা, যদি না ভৃত্যরা তাদেরকে তোমার জন্য ঝুকিয়ে দিতো! 

.

(৮) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, আল্লাহ তা’আলা যখন তার কোন বান্দাকে সাহায্য করতে চান, তখন তাকে সাহায্য করতে পারেন একটি সামান্য লাঠি দ্বারা, যা আগে শুধুমাত্র ঠেক লাগানো ও গাছের পাতা ঝুঁকিয়ে দেয়ার জন্য ছিল। 

.

(৯) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, দুনিয়ার সব আসবাব মানুষের উপর প্রয়োগ হয়, আল্লাহর উপর নয়। যে নদী কয়েকটি শিশুকে ডুবিয়ে দিতে পারে, সে নদী ডাক হরকরা হয়ে একটি শিশুকে তোমার নিকট পৌছিয়ে দল। অথচ, তুমি ঐ শিশুকে হত্যার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজে চলছো! আবার যে সমদ্রকে পাড়ি দিতে হয় জাহাজ দিয়ে, সেই সমুদ্র পাড়ি দিয়ে দিল একটি জনগোষ্ঠী অনায়াসে! 

.

(১০) তোমার দ্বারা আমি শিক্ষা নিয়েছি যে, পৃথিবীতে যা কিছু আছে, তা আল্লাহর সেনাবাহিনীর একেকটি সেনা। আর আল্লাহ তা’আলাই রণক্ষেত্রের অস্ত্র ঘুরিয়ে থাকেন।

.

.

সূত্র: জনপ্রিয় ফেইসবুক পেইজ (رحلة في أرض الله) হতে অনূদিত। অনুবাদক – Ainul Hoque Qasimi

Uncategorized

ছদকার গুরুত্ব ও ফযিলত 

আল্লাহ তাআলা সব মানুষকে ধনী ও সম্পদশালী বানিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। আসলে বিত্তশালীরা বিত্তহীনদের সাথে কেমন আচরণ করে আল্লাহ তাআলা তা দেখতে চান।

বাস্তবার আলোকে বলতে হয় আজ বিশ্বের মুসলিমরা আল্লাহর কোনো বিধানই যথার্থভাবে পালন করছে না। মুসলিম সমাজ যদি জাকাত, সদকা প্রদানে মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন করত তবে সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজ আজকের মত দারিদ্র্যের যাতাকলে পিষ্ট হত না।

ﺻﺪﻗﺔُ-সদাকাতুন, আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ হচ্ছে: দান। আর এই দান প্রধানত: দুই প্রকার,

এক. ওয়াজিব যা বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক।

যেমন,

(ক) নিসাবের মালিক (শরিয়ত নির্ধারিত নির্দিষ্ট পরিমাণ মালের মালিক) হলে প্রতি বছর অর্থের জাকাত ও শস্যাদির ওশর প্রদান করা।

(খ) সামর্থ্য থাকলে প্রতি বছর কোরবানী করা। আর এই শ্রেণীর দানগুলো সাধারণত: একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই প্রদান করতে হয়। যথা সঞ্চিত অর্থের উপর যখন এব বছর পূর্ণ হবে তখন তাতে জাকাত ফরজ হবে। এবং তা থেকে নির্ধারিত হারে জাকাত দিতে হবে। আর উৎপাদিত শস্যাদি মাড়াই শেষে যখন ঘরে উঠবে, তখন তা থেকে ওশর বের করতে হবে। উল্লেখ্য, শস্যাদির ক্ষেত্রে বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত নয়। তাই এই ওশর প্রদান শস্য মাড়াই করার সংখ্যা ভেদে বছরে একাধিকবারও হতে পারে। যেমন ইরি ধানের মৌসুম শেষে যদি আমন ধানও নিসাব পরিমাণ হয়, তবে তা থেকেও একই বছরে পুনরায় ওশর দেয়া অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে ইরি ধানের ওশর দেয়া হয়েছে বলে আমনের ওশর দেয়া থেকে বিরত থাকা চলবে না। অন্যথায় ওশর অনাদায়ের শাস্তি বরণ ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। লক্ষণীয় যে এ জাতীয় বাধ্যতামূলক দান, সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য নয়। কেবল বিত্তশালী ও ধনীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।

(গ) রমজানে রোজার ফিৎরা প্রদান করা

(ঘ) নজর বা মানত পূর্ণ করা।

এ দুই প্রকার দানও বাধ্যতামূলক। তবে এ জাতীয় দান কেবলমাত্র বিত্তশালীই নয় বরং ধনী দরিদ্র সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। এবং এগুলোও পূর্বোক্ত দানের ন্যায় একটা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রদান করতে হয়। ফিৎরা সর্বোচ্চ ঈদুল ফিতরের নামাজের পূর্বে এবং মানত তার সময় সীমার মধ্যেই পূর্ণ করা জরুরি। অন্যথায় তা যথাযথভাবে আদায় বলে গণ্য হবে না। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

দুই. নফল সদকা যা বাধ্যতামূলক নয় তবে অনেক সাওয়াবের কাজ।

এই দ্বিতীয় প্রকারের দান নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সৎপথে ব্যয় করা। যেমন: মসজিদ, মাদরাসা, গরীব, এতীম, কাঙ্গাল, ভিক্ষুকদের মাঝে সাধ্যমত দান করা। আত্মীয়, অনাত্মীয়, মুসাফির, বিপন্ন ও ঋণগ্রস্তকে সাহায্য করা ইত্যাদি। এ জাতীয় দানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পূর্বোক্ত দানের ন্যায় সময়ের কোন বাধ্যবধকতা নেই । স্থান, কাল, পাত্র ও প্রয়োজনভেদে কম বেশী করা যেতে পারে। দানের রকমও পরিবর্তন হতে পারে। মোট কথা অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার দান কারীর থাকে। তাছাড়া দিবারাত্রির যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে, এবং গোপনে ও প্রকাশ্যে এই দান করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং দাতা তার ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো সময় নেক পথে দান করে উপকৃত হতে পারেন।

সেই সাথে সকলকে স্মরণ রাখতে হবে যে, সর্ব প্রকার দানই কেবলমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হতে হবে, অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়। অন্যথায় সব দানই বিফলে যাবে এবং তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তখন শত আফসোস করেও কোনো লাভ হবে না।

স্মরণযোগ্য যে, বৈধ উপার্জন থেকে নেকনিয়তে প্রদত্ত সর্বপ্রকার দান-খয়রাতই নি:সন্দেহে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। তাই দান-খয়রাত কবুল হবার বিপরীত সবচিন্তা-চেতনা ও ধ্যান ধারণা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য আপ্রাণ চেস্টা করা প্রতিটি দ্বীনদার ও সচেতন মুসলমানের পবিত্র দায়িত্ব। আর এ লক্ষ্য অর্জনে আল্লাহ আমাদেরকে সম্মুখপানে অগ্রসর হওয়ার তাওফীক দান করুন আমীন।

জাকাত বা ওশর প্রসঙ্গ

ﺯﻛﺎﺓ (জাকাত)- এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বৃদ্ধি ও পবিত্র হওয়া।

শরিয়তের পরিভাষায় এর অর্থ হচ্ছে, শরিয়তের নির্দেশ অনুযায়ী নিজ সম্পদের একটা নির্ধারিত অংশ গরীব প্রাপকদের মাঝে বন্টন করা এবং তার লাভালাভ হতে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখা।

ﻋُﺸْﺮٌ (ওশর)- এর অর্থ হচ্ছে, উৎপন্ন শস্যের এক দশমাংশ উল্লেখিত নিয়মে বন্টন করা। অর্থাৎ বৃষ্টির পানিতে ও বিনা সিঞ্চনে উৎপাদিত শস্যের দশ ভাগের এক ভাগ বা বিশ মণে দুই মণ, আর সিঞ্চনের মাধ্যমে উৎপাদিত হলে বিশ মণে এক মণ বর্ণিত নিয়মানুসারে বন্টন করে দেয়া।

উল্লেখ্য যে, হিজরী ২য় সনে রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে মদিনায় জাকাত বিস্তারিত বিবরণসহ ফরজ হয়।

বলাবাহুল্য, জাকাত প্রদানের মাধ্যমে মাল বৃদ্ধি পায় ও পবিত্র হয়। পাশাপাশি কৃপণতার কলুষ-কালিমা হতে জাকাতদাতা প্রবিত্রতা লাভে ধন্য হয়। বস্তুত: জাকাত হচ্ছে ইসলামের ৩য় স্তম্ভ।

যেমন হাদীসে বলা হয়েছে:

ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ‏« ﺑُﻨِﻲَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺧَﻤْﺲٍ : ﺷَﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻭَﺇِﻗَﺎﻡِ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ، ﻭَﺇِﻳﺘَﺎﺀِ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﺞِّ، ﻭَﺻَﻮْﻡِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ‏» ؛ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ – ‏( ﺝ 1 / ﺹ 11 ‏)

অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত।

এক. আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার রাসূল এ সাক্ষ্য দেয়া।

দুই. নামাজ কায়েম করা।

তিন. জাকাত প্রদান করা।

চার. হজ্জ সম্পাদন করা।

পাচ. রমজানের রোজা রাখা। (বুখারি, মুসলিম)

লক্ষ্যণীয় যে, উক্ত হাদিসে জাকাতকে আল্লাহর নবী ৩য় স্তম্ভ বলে ঘোষণা করেছেন। তাই জাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এর উপকারিতা বর্ণনা করে শেষ করার মত নয়। প্রায় জায়গাতেই নামাজের পাশাপাশি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জাকাত প্রদানের নির্দেশ দিয়ে নামাজের মতই গুরুত্ব আরোপ করেছেন। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, নামাজ কায়েম করা ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। আর জাকাত আদায় করা কেবল ধনীদের জন্য ফরজ। এছাড়া নামাজের হুকুম দৈনিক পাঁচ বার পালনীয়। আর জাকাত প্রতি বছর মাত্র একবার আদায় করা কর্তব্য। বস্তুত: নামাজ হচ্ছে ইবাদতে বদনি বা শারীরিক এবাদত, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। আর জাকাত হচ্ছে, ইবাদতে মালী বা আর্থিক ইবাদত। যা সাধারণত: অর্থ ও সম্পদ ব্যয় ও দানের মাধ্যমে আদায় করতে হয়।

জাকাত প্রদানের নির্দেশ অবশ্য প্রতিপালনীয় হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরআনুল কারিমে অনেক আয়াত নাযিল করেছেন। বিশেষত: নামাজের নির্দেশের পরপরই জাকাতের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই জাকাতের গুরুত্বকে কোনোক্রমেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আবশ্যিক বা বাধ্যতামূলক দানসমূহের মধ্যে জাকাতই হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাপকদের অভাব পূরণে প্রধানতম সহায়ক দান। তাই এখানে জাকাতের গুরুত্ব ও ফজিলত, এবং জাকাত আদায় না করার পরিণতি সম্পর্কে সামান্য আলোচনা করা হবে।

নামাজের পাশাপাশি জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন:

ﻭَﺃَﻗِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﻣَﺎ ﺗُﻘَﺪِّﻣُﻮﺍ ﻟِﺄَﻧْﻔُﺴِﻜُﻢْ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮٍ ﺗَﺠِﺪُﻭﻩُ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠﻪِ

অর্থ: আর তোমরা নামাজ কায়েম কর ও জাকাত দাও। এবং নিজেদের জন্য তোমরা যে সৎকর্ম অগ্রে প্রেরণ করবে তাই তোমরা আল্লাহর নিকট পাবে। [সূরা বাকারা: ১১০]

জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা তার নবীকে বলেন:

ﺧُﺬْ ﻣِﻦْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟِﻬِﻢْ ﺻَﺪَﻗَﺔً ﺗُﻄَﻬِّﺮُﻫُﻢْ ﻭَﺗُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﺑِﻬَﺎ

অর্থ: তুমি তাদের সম্পদ হতে সাদাকাহ অর্থাৎ জাকাত গ্রহণ কর। যা দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে। [ সূরা তাওবা: ১০৩]

জাকাত ও ওশর গ্রহণ এবং উত্তম বস্তু ব্যয়ের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ অন্যত্র বলেন।

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔِﻘُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻃَﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻣَﺎ ﻛَﺴَﺒْﺘُﻢْ ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﺃَﺧْﺮَﺟْﻨَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻴَﻤَّﻤُﻮﺍ ﺍﻟْﺨَﺒِﻴﺚَ ﻣِﻨْﻪُ ﺗُﻨْﻔِﻘُﻮﻥَ ﻭَﻟَﺴْﺘُﻢْ ﺑِﺂﺧِﺬِﻳﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻥْ ﺗُﻐْﻤِﻀُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻭَﺍﻋْﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻏَﻨِﻲٌّ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﴿ 267 ﴾

অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের উপার্জন থেকে এবং আমি যা তোমদের জন্য ভূমি হতে উৎপন্ন করেছি তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না,কেননা তা তোমরা কখনো গ্রহণ করবে না, তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত। [ সূরা বাকারা: ২৬৭]

জাকাত ফরজ হওয়া সম্বন্ধে মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

ﺛُﻤَﺎﻣَﺔُ ﺑْﻦُ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦِ ﺃَﻧَﺲٍ ﺃَﻥَّ ﺃَﻧَﺴًﺎ ﺣَﺪَّﺛَﻪُ ﺃَﻥَّ ﺃَﺑَﺎ ﺑَﻜْﺮٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻛَﺘَﺐَ ﻟَﻪُ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ ﻟَﻤَّﺎ ﻭَﺟَّﻬَﻪُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺒَﺤْﺮَﻳْﻦِ : ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﻫَﺬِﻩِ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔُ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺔِ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟَّﺘِﻲ ﺃَﻣَﺮَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ ﻓَﻤَﻦْ ﺳُﺌِﻠَﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻰ ﻭَﺟْﻬِﻬَﺎ ﻓَﻠْﻴُﻌْﻄِﻬَﺎ ﻭَﻣَﻦْ ﺳُﺌِﻞَ ﻓَﻮْﻗَﻬَﺎ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻌْﻂِ . ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ – ‏( ﺝ 5 / ﺹ 292 ‏)

অর্থ: আনাস রাদিয়াল্লাহ হতে বর্ণিত, তাকে যখন খলীফা আবু বকর বাহরাইনের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে পাঠাচ্ছিলেন, তখন তাকে এ নির্দেশনামাটি লিখে দিয়েছিলেন। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। এটা ফরজ সাদকা বা জাকাত যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের প্রতি ফরজ করে দিয়েছেন এবং যার নির্দেশ আল্লাহ তার রাসূলকে দিয়েছেন। যে কোনো মুসলমানের নিকট এটা নির্দিষ্ট নিয়মে চাওয়া হবে, সে যেন তা দিয়ে দেয়। আর যার নিকট এর অধিক চাওয়া হবে সে যেন না দেয়। ……..বুখারি।

একই বিষয়ে অপর হাদিসে আল্লাহর নবী বলেন:

ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟِﻤُﻌَﺎﺫِ ﺑْﻦِ ﺟَﺒَﻞٍ ﺣِﻴﻦَ ﺑَﻌَﺜَﻪُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻴَﻤَﻦِ : ‏« ﺇِﻧَّﻚَ ﺳَﺘَﺄْﺗِﻲ ﻗَﻮْﻣًﺎ ﺃَﻫْﻞَ ﻛِﺘَﺎﺏٍ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺟِﺌْﺘَﻬُﻢْ ﻓَﺎﺩْﻋُﻬُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻥْ ﻳَﺸْﻬَﺪُﻭﺍ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﺈِﻥْ ﻫُﻢْ ﺃَﻃَﺎﻋُﻮﺍ ﻟَﻚَ ﺑِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺄَﺧْﺒِﺮْﻫُﻢْ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻗَﺪْ ﻓَﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺧَﻤْﺲَ ﺻَﻠَﻮَﺍﺕٍ ﻓِﻲ ﻛُﻞِّ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻓَﺈِﻥْ ﻫُﻢْ ﺃَﻃَﺎﻋُﻮﺍ ﻟَﻚَ ﺑِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺄَﺧْﺒِﺮْﻫُﻢْ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻗَﺪْ ﻓَﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺻَﺪَﻗَﺔً ﺗُﺆْﺧَﺬُ ﻣِﻦْ ﺃَﻏْﻨِﻴَﺎﺋِﻬِﻢْ ﻓَﺘُﺮَﺩُّ ﻋَﻠَﻰ ﻓُﻘَﺮَﺍﺋِﻬِﻢْ ﻓَﺈِﻥْ ﻫُﻢْ ﺃَﻃَﺎﻋُﻮﺍ ﻟَﻚَ ﺑِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺈِﻳَّﺎﻙَ ﻭَﻛَﺮَﺍﺋِﻢَ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟِﻬِﻢْ ﻭَﺍﺗَّﻖِ ﺩَﻋْﻮَﺓَ ﺍﻟْﻤَﻈْﻠُﻮﻡِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻴْﺲَ ﺑَﻴْﻨَﻪُ ﻭَﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺣِﺠَﺎﺏٌ ‏» ؛ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ – ‏( ﺝ 5 / ﺹ 356 ‏)

অর্থ: ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়ায বিন জাবালকে ইয়েমেনের উদ্দেশ্যে পাঠানোর সময় বললেন: তুমি আহলে কিতাবদের নিকট যাচ্ছ। প্রথমে তাদেরকে এই সাক্ষ্য দিতে আহবান জানাবে- আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তোমার এ কথা মেনে নেয়, তবে তাদেরকে বলবে যে, আল্লাহ তাআলা তাদের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। অত:পর তারা যদি এটাও মেনে নেয়, তখন তাদেরকে বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর সাদাকা বা জাকাত ফরজ করেছেন, যা তাদের ধনীদের নিকট হতে গ্রহণ করে তাদের দরিদ্রদের মধ্যে বন্টন করা হবে। যদি তারা তোমার এ কথা মেনে নেয়, তবে সাবধান! জাকাত গ্রহণের সময় তুমি বেছে বেছে তাদের শুধু উত্তম জিনিসসমূহ নিবে না। আর বেঁচে থাকবে মাযলুমের বদ দুআ হতে। কেননা মাযলুমের বদ দুআ এবং আল্লাহর মধ্যে কোন আড়াল নেই। বুখারি।

বাধ্যতামূলক দান সমূহের মধ্যে জাকাত বা ওশর প্রদানের হুকুম যে অবশ্য পালনীয়, তার প্রমাণে আল্লাহর পবিত্র কালাম কোরআন মাজিদের পাশাপাশি উপরের দুটি হাদীসও বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। যাতে বিদালোকের ন্যায় সুস্পষ্টভাবে জাকাতের ফরজিয়াত বিবৃত হয়েছে। ফলে জাকাত ফরজ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।